পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী এখন শাহবাজ শরিফ। দেশ পরিচালনার জন্য শাহবাজ শরিফকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি প্রথম দফায় জোটের শরিকদের মন্ত্রিসভায় পদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেবেন পিপিপির নেতারা। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সোমবার অথবা মঙ্গলবার শপথ নিতে পারেন পাকিস্তানের নতুন সরকারের ১০ থেকে ১২ জন মন্ত্রী।
মন্ত্রিসভার সদস্যদের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য গত শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে শাহবাজের সঙ্গে বৈঠক করেন পিপিপি চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো এবং কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি।
এর আগে আসিফ আলি জারদারি সাংবাদিকদের বলেন, পিপিপি মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না কারণ তিনি চেয়েছিলেন জোট শরিকদের আগে স্থান দেওয়া হোক। পরে পিপিপির এই নেতা ব্যাখ্যা করে বলেন, তার মানে এই নয় যে তার দল মন্ত্রিসভায় যোগ দেবে না।
পিপিপির সূত্রের তরফে জানা গেছে, সরকারের রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে কেবিনেটের ১১টি আসন পেতে পারে পিপিপির সদস্যরা এবং পিএমএল-এন পেতে পারে ১৪টি। তবে এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, জ্বালানি, পানি, বিদ্যুৎ ও পেট্রোলিয়াম বিভাগের দায়িত্ব পেতে পারে পিএমএল-এন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মানবাধিকারের বিষয়গুলোর দায়িত্ব পেতে পারে পিপিপি।
যদি বিলাওয়াল ভুট্টো কেবিনেটে যোগ দেন তাহলে হয়ত তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। মতুর্জা জাভেদ আব্বাসি জাতীয় অধিবেশনের ডেপুটি স্পিকার হতে পারেন। এ ছাড়া পিপিপির মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব পেতে পারেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব।
পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল মূলত ২০২৩ সালের আগস্টে। কিন্তু তার আগেই অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। অতীতের ধারা অনুসরণ করে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতনও হয়েছে মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার শুনানি হতে পারে। রাজনীতির লড়াইয়ে গ্রেফতারও হতে পারেন পাকিস্তানের এই সাবেক ক্যাপ্টেন। সূত্র: জিও নিউজ