ঢাকার দোহারের মৈনটঘাট এলাকায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ হয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী তারিকুজ্জামান সানির মৃত্যুর ঘটনায় তার ১৫ বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সানির পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, সানির মৃত্যু ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে শুক্রবার রাতে দোহার থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলার পর সানির সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া ১৫ বন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেফতার শিক্ষার্থীরা হলেন- শরীফুল হোসেন, শাকিল আহমেদ, সেজান আহমেদ, রুবেল, সজীব, নূর জামান, নাসির, মারুফ, আশরাফুল আলম, জাহাঙ্গীর হোসেন লিটন, নোমান, জাহিদ, শাহরিয়ার মোমেন, মারুফুল হক মারুফ ও রোকনুজ্জামান জিতু।
বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ১৫-১৬ জনের একটি দল দোহারের মৈনটঘাটে ঘুরতে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘাটে অবস্থানরত ড্রেজার বাল্কহেডে উঠে মোবাইল ফোনে সেলফি তোলার সময় পা পিছলে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন সানি। পরদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। সূএ: জাগোনিউজ২৪.কম