ন্যাটো সম্মেলন থেকে শত্রু-মিত্র চিহ্নিত হবে: জেলেনস্কি

চলমান সংকট নিরসনে ইউরোপে মিলিত হবেন পশ্চিমা নেতারা। পাশাপাশি রাশিয়ার উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করতে ইউরোপ সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ইউরোপের নেতৃবৃন্দের বৈঠক থেকে মিত্র আর শত্রু চিহ্নিত করা বোঝা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

 

বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটোর জরুরি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে জো বাইডেন উপস্থিত থাকবেন। আর জেলেনস্কির ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় পুনরায় রুশ সেনা মোকাবেলায় যুদ্ধবিমান-ক্ষেপণাস্ত্রসহ আরও সামরিক সহায়তার চাইতে পারেন।

 

বুধবার রাতে জেলেনস্কি বলেন,‘রাশিয়া তার স্বার্থরক্ষায় কাজ শুরু করেছে। আমরা জানি যে তারা আমাদের কিছু অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করছে। ন্যাটো, জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে আমাদের দৃঢ় অবস্থান থাকবে।

 

‘‘এই সম্মেলন থেকে কারা আমাদের বন্ধু, কারা অংশীদার এবং কারা অর্থের বিনিময়ে বিশ্বাসঘাতকতা করবে তা চিহ্নিত হয়ে হবে।’

 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণাসহ সামরিক সহায়তার দাবি করছেন জেলেনস্কি। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়াতে অনিচ্ছুক মিত্রদেশগুলো। ফলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে সীমিত সামরিক শক্তি নিয়ে লড়াই করছে ইউক্রেনের সেনারা।

 

এক মাস রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জেলেনস্কি। তার মতে, ২০১৪ সালে রাশিয়া বিনা রক্তপাতে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করেছিল। তখন ইউক্রেনের জনগণ ছিল ভীত ও শঙ্কিত। কিন্তু এবার ইউক্রেনের জনগণ সাহসী ও লড়াকু মনোভাবসম্পূর্ণ।

 

ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য না করলেও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে রাশিয়াকে কোণঠাসার চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস-কয়লা আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিলেও ইউরোপ এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি।

 

কারণ রাশিয়া ইউরোপে ৪০ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করে। ফলে এত দ্রুত বিকল্প জ্বালানি উৎস খুঁজে বের করা সত্যিই কঠিন। ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জ্বালানি সংকট সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা হতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আরেক দলের ফ্যাসিস্ট হয়ে ওঠার জন্য জুলাই বিপ্লব হয়নি: নাহিদ

» বেড়েছে স্বর্ণের দাম

» ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা অন্তর্বর্তী সরকারের বড় ব্যর্থতা’

» যারা প্রোফাইল লাল করেছিল তাদের জীবন লাল করে দেবে আ. লীগ, সতর্ক করলেন পার্থ

» উপদেষ্টা পরিষদের যে ‘ফিটনেস’, তা দিয়ে জাতীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়: নুর

» ফেব্রুয়ারি-এপ্রিলকে লক্ষ্য রেখে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি

» বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই, আছে ছিনতাইকারী: ডিএমপি কমিশনার

» ইনসাফভিত্তিক মানবিক দেশ প্রতিষ্ঠার এখনই সময়: তারেক রহমান

» গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ঐক্য বজায় রাখার ডাক খালেদা জিয়ার

» নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি পরিবর্তন চায় : মির্জা ফখরুল

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ন্যাটো সম্মেলন থেকে শত্রু-মিত্র চিহ্নিত হবে: জেলেনস্কি

চলমান সংকট নিরসনে ইউরোপে মিলিত হবেন পশ্চিমা নেতারা। পাশাপাশি রাশিয়ার উপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইউরোপের নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ করতে ইউরোপ সফর করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে ইউরোপের নেতৃবৃন্দের বৈঠক থেকে মিত্র আর শত্রু চিহ্নিত করা বোঝা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

 

বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে ন্যাটোর জরুরি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে জো বাইডেন উপস্থিত থাকবেন। আর জেলেনস্কির ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় পুনরায় রুশ সেনা মোকাবেলায় যুদ্ধবিমান-ক্ষেপণাস্ত্রসহ আরও সামরিক সহায়তার চাইতে পারেন।

 

বুধবার রাতে জেলেনস্কি বলেন,‘রাশিয়া তার স্বার্থরক্ষায় কাজ শুরু করেছে। আমরা জানি যে তারা আমাদের কিছু অংশীদারের সঙ্গে আলোচনা করছে। ন্যাটো, জি-৭ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্মেলনে আমাদের দৃঢ় অবস্থান থাকবে।

 

‘‘এই সম্মেলন থেকে কারা আমাদের বন্ধু, কারা অংশীদার এবং কারা অর্থের বিনিময়ে বিশ্বাসঘাতকতা করবে তা চিহ্নিত হয়ে হবে।’

 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণাসহ সামরিক সহায়তার দাবি করছেন জেলেনস্কি। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়াতে অনিচ্ছুক মিত্রদেশগুলো। ফলে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক শক্তির বিরুদ্ধে সীমিত সামরিক শক্তি নিয়ে লড়াই করছে ইউক্রেনের সেনারা।

 

এক মাস রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন জেলেনস্কি। তার মতে, ২০১৪ সালে রাশিয়া বিনা রক্তপাতে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল করেছিল। তখন ইউক্রেনের জনগণ ছিল ভীত ও শঙ্কিত। কিন্তু এবার ইউক্রেনের জনগণ সাহসী ও লড়াকু মনোভাবসম্পূর্ণ।

 

ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য না করলেও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে রাশিয়াকে কোণঠাসার চেষ্টা করছে পশ্চিমা বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে তেল-গ্যাস-কয়লা আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিলেও ইউরোপ এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেনি।

 

কারণ রাশিয়া ইউরোপে ৪০ ভাগ গ্যাস সরবরাহ করে। ফলে এত দ্রুত বিকল্প জ্বালানি উৎস খুঁজে বের করা সত্যিই কঠিন। ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জ্বালানি সংকট সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা হতে পারে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com