নির্বাচন কমিশনারদের বিচার চাইলেন বিএনপির হারুন

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।

 

সংসদে তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের (বর্তমান নির্বাচন কমিশন) মেয়াদ শেষ হবে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি

রোববার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ নামে খসড়া আইন উত্থাপনের বিরোধিতা করে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক আইনটি সংসদে উত্থাপনের জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের অনুমতি চান।

 

এ সময় হারুন বলেন, বিগত রকিব কমিশন এবং হুদা কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি আইনমন্ত্রীকে স্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৬ সালে যখন বাংলাদেশের কে এম হাসানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল- তখন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংস্কার ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাবো না। ১৯৯৫-৯৬ সালে দীর্ঘ ১৭২ দিন হরতালের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না।

 

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সার্চ কমিটি বিষয়ে যে আইন করা হচ্ছে। সারাদেশের লোকজনের দাবি ছিল অন্তত এই আইনটির বিষয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে জায়গা থেকে যেন আমরা বেরিয়ে আসতে পারি।

 

এই আইনে নতুন কিছু নাই দাবি করে তিনি বলেন, শুধু অতীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে তাদের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এই আইন দিয়ে বর্তমান সংকট কখনো নিরসন হবে না। এই সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো না। সুতরাং আমি দাবি করবো অবশ্যই এই আইনটি প্রত্যাহার করুন। আইনমন্ত্রী কিছুদিন আগেই বলেছিলেন এ ধরনের একটি আইন করার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং সমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথাটি বলার পর আজকে তিনি কীভাবে এ ধরনের আইন আনতে পারলেন?

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় কৃষকদের জন্য কৃষি ঋণ বিতরণ ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে প্রাইম ব্যাংক

» স্কুলে অগ্নি নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ আয়োজন করলো এনার্জিপ্যাক

» নওগাঁর মহাদেবপুরে আওয়ামীলীগের ৩ নেতা-কর্মী আটক

» নওগাঁর নিয়ামতপুরে ভাতিজার হাতে চাচা খুন

» বিক্রয়-এর নতুন উদ্যোগ – মোটরগাইড বাংলাদেশ

» আমরা ও একদিন মরে যাবো! হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী

» শেওড়াপাড়ায় জোড়া খুন : মাস্ক-ক্যাপ পরা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

» আ.লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ সব দলের সিদ্ধান্তে হয়েছে : প্রেস সচিব

» যুদ্ধ নয়, অজ্ঞতাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শেষ করবে : কঙ্গনা

» ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নির্বাচন কমিশনারদের বিচার চাইলেন বিএনপির হারুন

দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।

 

সংসদে তিনি বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের (বর্তমান নির্বাচন কমিশন) মেয়াদ শেষ হবে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা খুবই জরুরি

রোববার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ নামে খসড়া আইন উত্থাপনের বিরোধিতা করে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক আইনটি সংসদে উত্থাপনের জন্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের অনুমতি চান।

 

এ সময় হারুন বলেন, বিগত রকিব কমিশন এবং হুদা কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমি আইনমন্ত্রীকে স্পষ্টভাবে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আজকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০০৬ সালে যখন বাংলাদেশের কে এম হাসানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেওয়া, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল- তখন প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছিলেন নির্বাচন কমিশন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংস্কার ছাড়া আমরা নির্বাচনে যাবো না। ১৯৯৫-৯৬ সালে দীর্ঘ ১৭২ দিন হরতালের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনে যাবো না।

 

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সার্চ কমিটি বিষয়ে যে আইন করা হচ্ছে। সারাদেশের লোকজনের দাবি ছিল অন্তত এই আইনটির বিষয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে জায়গা থেকে যেন আমরা বেরিয়ে আসতে পারি।

 

এই আইনে নতুন কিছু নাই দাবি করে তিনি বলেন, শুধু অতীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে তাদের বৈধতা দেওয়া হয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এই আইন দিয়ে বর্তমান সংকট কখনো নিরসন হবে না। এই সংকট থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো না। সুতরাং আমি দাবি করবো অবশ্যই এই আইনটি প্রত্যাহার করুন। আইনমন্ত্রী কিছুদিন আগেই বলেছিলেন এ ধরনের একটি আইন করার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল এবং সমাজের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এই কথাটি বলার পর আজকে তিনি কীভাবে এ ধরনের আইন আনতে পারলেন?

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com