ছবি: রয়টার্স
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠনে লাগবে ৯ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া গাজায় যা ঘটেছে তা মিসর এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য চ্যালেঞ্জ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। শনিবার এক প্রতিদেনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
কায়রো নিউজ চ্যানেল অনুসারে, কায়রো কনভেনশন সেন্টারে দেওয়া এক বক্তৃতায় প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেন, ইসরায়েলি বোমা হামলার ফলে বিধ্বস্ত হওয়া গাজা উপত্যকা পুনর্নির্মাণের জন্য কত অর্থ প্রয়োজন তার হিসাব (মিশরীয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে) দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন তিনি। তার দাবি, গাজা উপত্যকার পুনর্গঠনের জন্য ৯০ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন।
তিনি উল্লেখ করেছেন, গাজায় যা ঘটেছে তা মিসর এবং সমগ্র অঞ্চলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। রাফাহ ক্রসিং সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে এবং আমরা গাজা উপত্যকায় সাহায্য আনতে আগ্রহী।
তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, স্থলপথে সহায়তা সরবরাহে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কারণে মিসর গাজা উপত্যকায় সহায়তা এয়ারড্রপ করেছে।
এমিরাতি বার্তাসংস্থা ডব্লিউএএম জানিয়েছে, মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের জন্য গত শুক্রবার পঞ্চম দফা এয়ারড্রপের মাধ্যমে যৌথভাবে মানবিক সহায়তা মিশন পরিচালনা করে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষ। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।