দুর্নীতি প্রতিরোধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সহযোগিতা চাইলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের নবম অধিবেশনে ডিসিদের প্রতি দুদক চেয়ারম্যান এই সহযোগিতা চান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি যেন না হয়, দুর্নীতি থেকে যেন মানুষ দূরে থাকে এটা দুদকের অন্যতম কাজ। তাই জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে দুদক। আমরা ডিসিদের অনুরোধ জানিয়েছি, তারা যেন আমাদের সবসময় সহযোগিতা করেন।
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘একজন জেলা প্রশাসক ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কোন অফিসে কোথায় দুর্নীতি হয় সবই জানেন। জেলা প্রশাসক ওইসব জায়গায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন।
চেয়ারম্যান সাংবাদিদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির ধরনও পরিবর্তন হয়ে যায়। কোথাও যদি গণশুনানি করা হয় তাহলে দুর্নীতির নতুন ধরনগুলো জানা যায়। করোনার কারণে এটি এখন সীমিত আছে। আমরা ডিসিদের বলেছি, তারাও যেন গণশুনানি করেন।
মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, ‘দুর্নীতি এমন একটি জিনিস, প্রমাণ পাওয়াটা খুব কঠিন। অকাট্য প্রমাণ ছাড়া তো আমরা এগোতে পারি না। কারণ এটি না হলে আদালত মামলা গ্রহণ করবে না। যিনি ঘুষ নেন, যিনি দেন, তারা কেউই তো স্বীকার করেন না। এটি কমিয়ে আনতে আমরা চেষ্টা করছি।
দুদকের আইনজীবীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘জেলার যারা বিজ্ঞ আইনজীবী আছেন তাদেরকেই আমরা নিয়োগ করার চেষ্টা করি। দুদক আইনে আছে, আমাদের একটি প্যানেল থাকে। সহকারী সচিব বা সহকারী পরিচালকের বেতনে তো কোনো আইনজীবী আসতে রাজি হবেন না।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিনিয়র আইনজীবীরা স্বাধীনভাবে আইন পেশায় থাকলে তাদের আয় অনেক বেশি থাকে। আমার এখানে যদি নিয়ে আসি- পঞ্চম গ্রেডের বেতন যদি দিই, সেই টাকায় ভালো আইনজীবী আসবেন না। আইনজীবী হিসেবে যারা প্রতিষ্ঠিত তাদেকেই আমরা নিয়োগের চেষ্টা করি।’