দিনাজপুর জেলার ১৩ টি থানায় ১৩টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দিচ্ছে পুলিশ। মুজিববর্ষ উপলক্ষে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজির আহমেদের নির্দেশনায় সারাদেশের ৬১৩ টি থানার ৬১৩ টি গৃহহীন অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে একটি করে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুর পুলিশ ইতিমধ্যেই গৃহহীন পরিবারগুলোকে খুঁজে বের করে ২ শতক জমি ক্রয় করে তার উপর পাকা ঘর তৈরি করে সুবিধাভোগীদের হাতে তা হস্তান্তর করেছেন।
রোববার সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরেও এ আশ্রয়ণ প্রকল্পে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘরের আবেদন করেও ঘর না পাওয়ায় দিনাজপুর পৌর এলাকার কাঞ্চন কলোনির বিধবা মুনিজা বেগম (৭২) দিনাজপুর কোতোয়ালি পুলিশের নিকট আবেদন করেন । কোতয়ালী পুলিশ যাচাই-বাছাই করে দিনাজপুর সদরের নয়নপুর এলাকায় ২ শতক জমি ক্রয় করে একটি পাকা ঘর তৈরি করে দেন। নতুন ঘর পেয়ে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনেকটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বিধাব মুজিনা বেগম।
মা মুজিনা বেগম , জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এমন ঘর পাব তা কথন ভাবতে পারিনি। এখন যতদিন বেচেঁ থাকব ততদিন দিনাজপুর পুলিশ সুপার স্যারসহ জেলার সকল পুলিশের জন্য দোয়া করতে থাকব। কারণ আমার কাছে এটাই সম্বল আছে । মৃত্যুও আগের দিন পর্যন্ত আমার দোয়া তাদেরকে দিতেই থাকব ।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ওসি মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, আমার পুলিশ সুপারসহ আমার ঊর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাদের দিক নির্দেশনায় আমার থানায় একটি হতদরিদ্র পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি। নিজেকে একজন গর্বিত মানুষ মনে হচ্ছে। নিজের ভিতরে প্রশান্তি লাগছে ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার বলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শকের নির্দেশনায় মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। নিজেদের অর্থায়নে প্রতিটি থানায় একটি করে গৃহ তৈরি করে দিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন। মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে নিশ্চই পুলিশের অন্যান্য ভালো কাজের সাথে যুক্ত হলো আরও একটি ভালো কাজ ।