বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার জনপ্রিয়তার কারণে আমরা ৩ বার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছি। এটা শুধু বাংলাদেশের না, এটা সবারই চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এমনকি পশ্চিমা দেশরাও পছন্দ করে না। তাদের কি জানি একটা নার্ভাসনেস কাজ করে। কিন্তু মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধু কন্যার রাজনীতির কারণে এই পৃথিবীতে তিনি একজন প্রথম শ্রেণির জনপ্রিয় রাজনীতিবিদে পরিণত হয়েছেন। শুধুমাত্র তার কর্মে এবং দেশের জনগণের প্রতি ভালবাসার কারণে। বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা এক টার্ম কেন, দরকার হলে আজীবন ক্ষমতায় থাকবেন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে থাকবেন। এর কোনো বিকল্প নেই।
আজ (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ‘দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের প্রতিবাদে’ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আজ থেকে শুরু হয়েছে ভাষা আন্দোলনের মাস। এই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকেও কলঙ্কিত করা হয়েছিল। আপনারা দেখেছেন এই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামও মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে একটা গোষ্ঠী। যারা মিথ্যাচারে পারদর্শী। যারা সত্যকে মিথ্যা বানাতে পারে, দিনকে রাত বানাতে পারে।
পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৪৮ সালে এই ভাষা আন্দোলমের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন, ভাষা সৈনিকদের সমবেত এবং সংগঠিত করেছেন। তার নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার। আমরা দেখেছি প্রোপাগাণ্ডার রাজনীতি, অপপ্রচারের রাজনীতি চলমান। আমরা দেখেছি বিদেশিদের কাছে আজকে আমাদের উপস্থাপন করা হয়েছে একটা কর্তৃত্ববাদী, অত্যাচারী সরকার হিসেবে। চিন্তা করে দেখেন তারা কতটুকু জায়গা পাচ্ছে রাজনীতি করার, আর তাদের আমলে আমরা কতটুকু জায়গা পেতাম রাজনীতি করার। আমরা আমাদের এই অফিসে (বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) দাঁড়াতে পারতাম না। আজকে আমরা ওই দিন তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। তাই আজকে তারা জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আজকে বিএনপি জামায়াত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার, হত্যার ষড়যন্ত্রে তারা লিপ্ত।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সমালোচনা করে নিখিল বলেন, তিনি বলেছেন (মির্জা ফখরুল) আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। হাসি-ঠাট্টা করে বলেছেন। উত্তরে পালানোর জায়গা নেই। কী বোঝাতে চাইছেন মির্জা ফখরুল? তার উদ্দেশ্যে আমরা বলতে চাই, এই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশ গড়েছেন শেখ মুজিবর রহমান, আর তার হাল ধরেছেন তার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সেই আওয়ামী লীগ পালানো পথ পাবে না এই কথা মির্জা ফখরুল বলেন। শত চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দমিয়ে রাখা যায়নি। আর সেই নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যাবে মির্জা ফখরুল! পালিয়ে যাবেন আপনারা। কারণ আপনারা বাংলাদেশের মানুষ নয়, বাংলাদেশকে বিশ্বাস করেন না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।