তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, সুজন এত দাদাগিরি করে কেন?

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন একটি এনজিও। এই এনজিওর সারা দেশে কোনো শাখাও নেই, প্রশাখাও নেই। এটা ব্যক্তিবিশেষ একটি এনজিও। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করে চলে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকেও তারা একসময় তহবিল নিয়েছে। এটা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন বিগত প্রধান নির্বাচন কমিশনার।তারা নির্বাচন করে না, করবেও না। অথচ যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছে, তারা এত দাদাগিরি করে কেন? আর গণমাধ্যমেও সেটি ফলাও করে প্রকাশ করা হয় কেন, সেটিও আমার প্রশ্ন।’

 

শুক্রবার   দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।ৎ

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ও অংশগ্রহণমূলকভাবে এবার আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সবার সঙ্গে বসা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে বসা হয়েছে। সুজনের সঙ্গে বসা হয়েছে। যারা টক শো করেন, তাদের সঙ্গেও বসা হয়েছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বসা হয়েছে এবং তারা সবাই মত দিয়েছেন। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সেখানে গেছেন। এরপর সার্চ কমিটি যে ১০ জন সিলেক্ট করবে, সেটি তাদের আইনবলে, ক্ষমতাবলে। সেই ১০ জনের নাম প্রকাশ করবে কি করবে না, সেটা সার্চ কমিটির ব্যাপার। সেটির বিষয়ে সুজন কে বলার?

 

তিনি বলেন, ষাটোর্ধদের জন্য পেনশন স্কিম প্রধানমন্ত্রীর একান্তই নিজস্ব চিন্তার ফসল। এটির জন্য বিএনপিসহ কোনো রাজনৈতিক দল দাবি করেনি। সুশীল সমাজ, রাত বারোটার পর যারা টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন কিংবা যারা সময়ে-অসময়ে, কারণে-অকারণে জাতিকে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করেন তারাও বলেননি। এভাবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চান।

 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি তাদের নয়াপল্টনের অফিসে বারো বছর আগে থেকে আমাদের সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজাচ্ছে। আরো কয় বছর বাজাতে হয় সেটা জনগণ ঠিক করবে। তারা বিদায় ঘণ্টা বাজানো সত্ত্বেও জনগণ গত দুই নির্বাচনে আমাদেরকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে আগামী নির্বাচনেও জনগণ নৌকায় ভোট দেবে।

 

এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

» কল্কির সিক্যুয়েল থেকেও বাদ পড়লেন দীপিকা

» সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

» বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে: টুকু

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু

» সীমানা বিরোধ: আদালতের রায়ের পর সিদ্ধান্ত নেবে ইসি

» নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের একগুচ্ছ নির্দেশনা তারেক রহমানের

» দুটি ব্যাংকের তিনটি কার্ড ব্যবহার করে ৬ লাখ টাকা প্রতারণার, গ্রেফতার ১

» বাংলাদেশে সবচাইতে আগে জরুরি জাতীয় নির্বাচন : জিল্লুর রহমান

» শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জুলাই গণহত্যার জন্য দায়ী— সাক্ষ্য নাহিদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, সুজন এত দাদাগিরি করে কেন?

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন একটি এনজিও। এই এনজিওর সারা দেশে কোনো শাখাও নেই, প্রশাখাও নেই। এটা ব্যক্তিবিশেষ একটি এনজিও। বিভিন্ন সংস্থা থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করে চলে। নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকেও তারা একসময় তহবিল নিয়েছে। এটা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন বিগত প্রধান নির্বাচন কমিশনার।তারা নির্বাচন করে না, করবেও না। অথচ যেভাবে পরামর্শ দিচ্ছে, তারা এত দাদাগিরি করে কেন? আর গণমাধ্যমেও সেটি ফলাও করে প্রকাশ করা হয় কেন, সেটিও আমার প্রশ্ন।’

 

শুক্রবার   দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।ৎ

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ও অংশগ্রহণমূলকভাবে এবার আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হচ্ছে। সবার সঙ্গে বসা হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে বসা হয়েছে। সুজনের সঙ্গে বসা হয়েছে। যারা টক শো করেন, তাদের সঙ্গেও বসা হয়েছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসা হয়েছে। রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বসা হয়েছে এবং তারা সবাই মত দিয়েছেন। বিএনপি ঘরানার বুদ্ধিজীবীরাও সেখানে গেছেন। এরপর সার্চ কমিটি যে ১০ জন সিলেক্ট করবে, সেটি তাদের আইনবলে, ক্ষমতাবলে। সেই ১০ জনের নাম প্রকাশ করবে কি করবে না, সেটা সার্চ কমিটির ব্যাপার। সেটির বিষয়ে সুজন কে বলার?

 

তিনি বলেন, ষাটোর্ধদের জন্য পেনশন স্কিম প্রধানমন্ত্রীর একান্তই নিজস্ব চিন্তার ফসল। এটির জন্য বিএনপিসহ কোনো রাজনৈতিক দল দাবি করেনি। সুশীল সমাজ, রাত বারোটার পর যারা টেলিভিশনের পর্দা গরম করেন কিংবা যারা সময়ে-অসময়ে, কারণে-অকারণে জাতিকে জ্ঞান দেওয়ার চেষ্টা করেন তারাও বলেননি। এভাবে প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চান।

 

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি তাদের নয়াপল্টনের অফিসে বারো বছর আগে থেকে আমাদের সরকারের বিদায়ের ঘণ্টা বাজাচ্ছে। আরো কয় বছর বাজাতে হয় সেটা জনগণ ঠিক করবে। তারা বিদায় ঘণ্টা বাজানো সত্ত্বেও জনগণ গত দুই নির্বাচনে আমাদেরকে নির্বাচিত করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে আগামী নির্বাচনেও জনগণ নৌকায় ভোট দেবে।

 

এ সময় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com