ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘খ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হবে আজ। এদিন দুপুরে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ফল প্রকাশের সময় উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এতে তিনি প্রধান অতিথি থাকবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন তিনি।
এর আগে চলতি মাসের ৪ তারিখে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহরে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবার ‘খ’ ইউনিটে মোট আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৫৫১ জন। আর মোট আসন সংখ্যা ১৭৮৮টি। সেক্ষেত্রে এ ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে লড়েছেন ৩২ দশমিক ৭৪ জন।
গতবার যেখানে লড়েছিল ২০ জন। ‘খ’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের উপর লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমসিকিউ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ছিল ৪৫ মিনিট।
রোববার বিকেলে জনসংযোগ দফতরের পরিচালক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে আছে তিনটি অনুষদ ও মোট ৩৪টি বিভাগ। মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা এই ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকে৷
২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটে ১০০ নম্বরে ভর্তি পরীক্ষা হয়। এমসিকিউ বা বহুনির্বাচনী অংশে ৬০ নম্বর এবং লিখিত অংশে ৪০ নম্বরে হয় এই পরীক্ষা। উভয় পরীক্ষায় আলাদা করে ৪৫ মিনিট বরাদ্দ ছিলো।
গত ৪ জুন অনুষ্ঠিত হওয়া এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার ৭৮৮ আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ৫৮ হাজার ৫৫৪ জন। আসনপ্রতি লড়েন ৩৩ জন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দের ভোগান্তি লাঘবের জন্য গতবছরের ন্যায় এবছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ দেশের অন্য ৭টি বিভাগীয় শহরে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পাস নম্বর: ১০০ নম্বরে পাস নম্বর ছিলো ৪০। পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী বহুনির্বাচনী অংশে বাংলায় ন্যূনতম ০৫ নম্বর, ইংরেজিতে ন্যূনতম ০৫ নম্বর, সাধারণ জ্ঞানে ন্যূন্যতম ১০ নম্বর এবং কমপক্ষে সর্বমোট ২৪ নম্বর পেলে উত্তীর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
A-Level সংশ্লিষ্টদের ক্ষেত্রে বাংলা বিষয়ের বিকল্প হিসেবে Elective English-এ ন্যূনতম ০৫ নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পেতে হিবে।
পরীক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষার অংশে ন্যূনতম ১১ নম্বর পেতে হবে। এর মধ্যে বাংলা অংশে ন্যূনতম ০৫ এবং ইংরেজিতে ন্যূনতম ০৫ পাওয়া আবশ্যক। ‘এ’ লেভেলের ক্ষেত্রে উল্লিখিত শর্ত সমভাবে প্রযোজ্য হবে। এ বছরও প্রতি চারটি ভুল উত্তরের জন্য একটি শুদ্ধ উত্তরের নম্বর কাটা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মেধাস্কোর তৈরির পদ্ধতি:
মোট ১২০ নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২ দিয়ে গুণ করে এই দুইয়ের যোগফল ২০ নম্বরের ভর্তি-পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে যোগ করে পরীক্ষার্থীর মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।