সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ করা নিত্যদিনের রীতি। দাঁত ব্রাশ করার আগে কখনও টুথপেস্টের দিতে ভালোভাবে খেয়াল করেছেন কি? টুথপেস্টের টিউবের নিচের দিকে বিভিন্ন রং দেওয়া থাকে। এই সব রঙের এমন্ই দেওয়া হয় না। এর আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে।
টুথপেস্টের টিউবের নিচে কেন এমন চিহ্ন থাকে, তা নিয়ে নানা ধরনের তথ্যের প্রচলন রয়েছে। কিন্তু সত্যিটা জানার পর হয়তো এটা ভেবে আক্ষেপ হতে পারে যে, না জেনে আপনিও কত মানুষকে ভুল তথ্য পাঠিয়েছেন!
বিশেষ করে হোয়াটসঅ্যাপে একটি তথ্য ঘুরে বেড়ায়। এক এক ধরণের টুথপেস্টে এক এক রকম দাগ দেওয়া থাকে। এমন রং নিরর্থক নয় দাবি করে এর ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, টিউবের নিচে ছোট আকারে লাল, কালো, নীল বা সবুজ রঙের যে দাগ থাকে, সেটা টুথপেস্টের গুণমান আলাদা করে বোঝায়।
বলা হয়, যে সব পেস্ট তৈরিতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, তার জন্য সবুজ রং দেওয়া থাকে। একইভাবে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ও কিছু ওষুধ ব্যবহার করা হলে নীল রং থাকে। লাল রং দেখে চেনা যায়, এই টুথপেস্ট তৈরি করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ও কিছু রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে। আর কালো মানে এই টুথপেস্ট তৈরিতে শুধুমাত্র রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়।
এমন ধারণা চালু থাকলেও এটা আদৌ সত্য নয়। টুথপেস্ট প্রস্তুতকারী সংস্থা কোলগেট তাদের ওয়েবসাইটে এই বিষয়ে জানিয়েছে, কোনো টুথপেস্ট তৈরিতে প্রাকৃতিক বা রাসায়নিক উপাদান আলাদা আলাদা করে ব্যবহার করা হয় না। মনে রাখা দরকার সব প্রাকৃতিক উপাদানও আসলে রাসায়নিক। সব মিলিয়ে রং নিয়ে যে প্রচার করা হয়, তা আসলে ঠিক নয়।
কোনো সংস্থা টুথপেস্টের উপকরণ বোঝাতে এসব রং ব্যবহার হয় না। এটা মূলত রাখা হয় উৎপাদন সংক্রান্ত কারণে। টিউব তৈরির সময়ে টুথপেস্ট রাখার জায়গা কোথায় শেষ, তা চিহ্নিত করতেই বিভিন্ন রঙের ব্যবহার করা হয়। ওই রং দেখেই যন্ত্র বুঝতে পারে টিউবের কোন জায়গা সিল করতে হবে।
কিন্তু কোন উপকরণে তৈরি টুটপেস্ট ব্যবহার করা হচ্ছে তা অবশ্য গ্রাহকের জানার উপায় রয়েছে। সেটা ছাপা থাকে টিউবের গায়ে কিংবা টিউবের বাক্সে। সূএ:ডেইলি বাংলাদেশ