গাজীপুরের টঙ্গী দত্তপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বে প্রাণ গেলো সোলাইমান (২২) নামে নিরীহ এক চা দোকানির।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাতে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি ও মরকুন পশ্চিম পাড়ার দুই গ্রুপে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সোলাইমান। এ ঘটনায় জড়িত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ।
নিহত সোলাইমান ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার পলসা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, টঙ্গী মরকুন তিস্তারগেট এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে সজল মিয়া (২৮) ও নোয়াগাঁও এলাকার বাহরাইলের বাড়ির মৃত জামিল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (২৪)।
এলাকাবাসি ও পুলিশ জানায়, ছিনতাই, মাদক কারবার ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি ও মরকুন পশ্চিমপাড়া এলাকার দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার বিকেলে এক গ্রুপ অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দত্তপাড়া কসাইবাড়ি এলাকায় মহড়া দেয়। এসময় তারা কাউকে না পেয়ে চা দোকানি সোলাইমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় সোলাইমানকে উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চিকিৎসকরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় তিনি মারা যান।
টঙ্গী পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাশাপাশি এলাকার দুইটি গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।