নিঃশব্দ ঘাতকের মতই বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। ডায়াবেটিসের এখন আর নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। রক্তে যখন গ্লুকোজের মাত্রা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে যায় তখনই সেই অবস্থাকে ডায়াবেটিস বলা হয়।
ডায়াবেটিসের নানা কারণ থাকে। কেউ জিনগত ভাবেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন আবার টাইপ-২ ডায়াবিটিসের জন্য কিন্তু মূলত আমাদের জীবনযাত্রা দায়ী। ডায়াবেটিসে কিডনি, হার্ট এবং চোখের উপর যথেষ্ঠ প্রভাব পড়ে। অনেক ক্ষেত্রেই কিডনি বিকল মতো ঘটনাও দেখা গেছে।
ডায়াবেটিস সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল করা যায় না। কিন্তু নিয়ম মেনে চললে কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কোনও রকম অসুবিধাও হয় না। টাইপ-১ ডায়াবেটিসে যারা আক্রান্ত হন, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা অনেক জটিল থাকে। অনেককেই ছোট বয়স থেকে ইনসুলিন নিতে হয়। তবে জীবনযাত্রায় পরিবর্তম আনতে পারলে কিন্তু ডায়াবেটিসও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
যদি বাড়িতে কারও সুগারের সমস্যা থাকে বা পারিবারিক ইতিহাসে ডায়াবেটিস থেকে থাকে তাহলে কিন্তু প্রথম থেকেই সতর্ক হতে হবে। মিষ্টি, চিনি, অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট এসব প্রথম থেকেই এড়িয়ে চলুন।
এছাড়াও ভাত দিনে একবারের বেশি খাবেন না। সেই সঙ্গে যদি ব্রাউন রাইস খেতে পারেন তাহলে কিন্তু ভাল। ব্রাউন রাইসের মধ্যে থাকে বেশি পরিমাণে ফাইবার। কার্বোহাইড্রেট একদমই থাকে না। সেই সঙ্গে পেটও অনেকক্ষণ ভর্তি থাকে।
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফল, শাকসবজি এসব অবশ্যই খান। বিভিন্ন রকম ডালও রাখুন ডায়েটে। চর্বিযুক্ত মাংস বা রেড মিট একদমই খাবেন না। চিকেনের হাড়ের অংশ খান। এছাড়াও রোজ একবাটি করে ডাল, গোটা শস্যদানা এসব কিন্তু অবশ্যই রাখবেন প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। এছাড়া প্রতিদিন একটি করে যে কোনও লেবু খান।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিজের জীবনযাত্রাকে একটা রুটিনে বেঁধে ফেলতে হবে। লোভে পড়ে যাতে অতিরিক্ত মিষ্টি না খাওয়া হয় সেদিকেও কিন্তু নজর রাখুন। ওজন কোনও ভাবেই বাড়তে দেবেন না। এতে কিন্তু নিজেরই ক্ষতি।, সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন