জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন

জনহয়রানি রোধ করুন: জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে দেশবাসীকে হয়রানি করা হচ্ছে। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে প্রয়োজন জন্মনিবন্ধনের। নতুন নিয়মে দেশজুড়ে যে জন্মনিবন্ধন চলছে তাতে বাবা কিংবা মায়ের জন্মনিবন্ধন নম্বরের প্রয়োজন হয়। শিশুর জন্মনিবন্ধনে বাবা-মা, দাদা-দাদির জন্মনিবন্ধনের কাগজ না থাকলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।

 

এ নিয়ে শুরু হয়েছে অজপাড়াগাঁ থেকে রাজধানী পর্যন্ত রমরমা ব্যবসা। পূর্বপুরুষের জন্মনিবন্ধনের কাগজ না থাকায় প্রায় ৬০ লাখ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের সার্ভারে। এর মধ্যে প্রবাসীসহ জন্মনিবন্ধনের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৫টি, জন্মসনদ সংশোধনের আবেদন রয়েছে ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৩টি, জন্মতথ্য সংশোধনের আবেদন রয়েছে ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭১১টি, মৃত্যুনিবন্ধন ও তথ্য সংশোধনের আবেদন ২২ হাজার ৭৬৪টি। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৫ হাজার ১০৫টি নিবন্ধন কেন্দ্রে পেন্ডিং আবেদনের সংখ্যা ৩ লাখের ওপরে। আর তিন ক্যাটাগরিতে এ পর্যন্ত দেশে জন্মনিবন্ধন হয়েছে ১৯ কোটি ৫৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৭টি। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করা সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রায় সবাই জন্মনিবন্ধনে জনভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। অধিকাংশ বক্তাই জন্মনিবন্ধনে সংশ্লিষ্ট আইন ও নিবন্ধন অ্যাপের তথ্যের সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে যে হয়রানি চলছে তাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি সাফ সাফ বলে দেন জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তিতে জনগণ হয়রানির শিকার হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে দেশজুড়ে যে হয়রানি চলছে তা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যেসব কর্মচারী-কর্মকর্তা পোষা হয় তাদেরই কারসাজি।

 

যে কাজগুলো ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে করা সম্ভব তা অকারণে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে হয় দায়িত্ব এড়ানো অথবা মতলব হাসিলের জন্য। এ তামাশা বন্ধে সরকার কঠোর হবে এমনটিই প্রত্যাশিত। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

» পিআর দাবি জনগণের আঙ্খাকার সঙ্গে ‘মুনাফেকি’: রিজভী

» পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় অতন্দ্র প্রহরী হোন: নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল

» সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন

জনহয়রানি রোধ করুন: জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে দেশবাসীকে হয়রানি করা হচ্ছে। সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করতে প্রয়োজন জন্মনিবন্ধনের। নতুন নিয়মে দেশজুড়ে যে জন্মনিবন্ধন চলছে তাতে বাবা কিংবা মায়ের জন্মনিবন্ধন নম্বরের প্রয়োজন হয়। শিশুর জন্মনিবন্ধনে বাবা-মা, দাদা-দাদির জন্মনিবন্ধনের কাগজ না থাকলে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে।

 

এ নিয়ে শুরু হয়েছে অজপাড়াগাঁ থেকে রাজধানী পর্যন্ত রমরমা ব্যবসা। পূর্বপুরুষের জন্মনিবন্ধনের কাগজ না থাকায় প্রায় ৬০ লাখ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের সার্ভারে। এর মধ্যে প্রবাসীসহ জন্মনিবন্ধনের আবেদন পেন্ডিং রয়েছে ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৩৮৫টি, জন্মসনদ সংশোধনের আবেদন রয়েছে ৯ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৩টি, জন্মতথ্য সংশোধনের আবেদন রয়েছে ১৫ লাখ ৭৪ হাজার ৭১১টি, মৃত্যুনিবন্ধন ও তথ্য সংশোধনের আবেদন ২২ হাজার ৭৬৪টি। এ ছাড়া জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৫ হাজার ১০৫টি নিবন্ধন কেন্দ্রে পেন্ডিং আবেদনের সংখ্যা ৩ লাখের ওপরে। আর তিন ক্যাটাগরিতে এ পর্যন্ত দেশে জন্মনিবন্ধন হয়েছে ১৯ কোটি ৫৮ লাখ ১৩ হাজার ৯৮৭টি। এহেন পরিস্থিতিতে রবিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম গতিশীল করা সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রায় সবাই জন্মনিবন্ধনে জনভোগান্তির কথা তুলে ধরেন। অধিকাংশ বক্তাই জন্মনিবন্ধনে সংশ্লিষ্ট আইন ও নিবন্ধন অ্যাপের তথ্যের সমন্বয় নেই বলে অভিযোগ করেন। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে যে হয়রানি চলছে তাতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি সাফ সাফ বলে দেন জন্মনিবন্ধন প্রাপ্তিতে জনগণ হয়রানির শিকার হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিয়ে দেশজুড়ে যে হয়রানি চলছে তা জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যেসব কর্মচারী-কর্মকর্তা পোষা হয় তাদেরই কারসাজি।

 

যে কাজগুলো ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে করা সম্ভব তা অকারণে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে হয় দায়িত্ব এড়ানো অথবা মতলব হাসিলের জন্য। এ তামাশা বন্ধে সরকার কঠোর হবে এমনটিই প্রত্যাশিত। সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com