শাহজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু (৫৪)। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতি।
ঘটনার সময় প্রীতির সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবী সুমাইয়া। শুক্রবার সকালে ঢাকাটাইমস প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে ঘটনার বর্ণনা দেন সুমাইয়া।
সুমাইয়া জানান, রাতে তার বাসায় যাওয়ার জন্য বের হন বান্ধবী প্রীতি। ঘটনার সময় টিপুর গাড়ির পাশেই ছিলেন প্রীতি ও সুমাইয়ার রিকশা। ‘এ ঘটনায় তো আমিও মরে যেতে পারতাম’ এই বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সুমাইয়া।
সুমাইয়া বলেন, প্রীতির বাসা মালিবাগে। তার বাসায় আত্মীয় থাকায়, ও আমাদের তিলপাপাড়ার বাসায় থাকবে বলে আসছিল। আমি প্রীতিকে আনতে শাহজাহানপুর আমতলায় যাই। পরে আমাদের বহনকারী রিকশাটি সিগন্যালে থামতেই বিকট শব্দ হয়। ভেবেছিলাম গাড়ির টায়ার ব্লাস্ট হয়েছে। শব্দ শুনে একপর্যায়ে আমরা দুজন রিকশা থেকে লাফ দেই। রাস্তায় শুয়ে পরি। আর আশপাশের লোকজন ছোটাছুটি করছে।
প্রীতির বান্ধবী বলেন, এ অবস্থায় পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আমি উঠে দেখি প্রীতি মাটিতে শুয়ে আছে, ও উঠছে না। পাশের একজন এসে বলে প্রীতি হয়ত অজ্ঞান হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিকভাবে আমিও তাই মনে করেছি। কিন্তু ওর পাশ দিয়ে রক্ত গড়িয়ে যাওয়া দেখে বুঝতে পারি সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছলে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা টিপুকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।
ঘটনার সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থী প্রীতি ও সুমাইয়া। দুর্বৃত্তদের ছোড়া গুলিতে প্রীতিও বিদ্ধ হন। পরে তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক টিপু ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।