আশুলিয়ায় গরুর খামারের আড়ালে ডাকাতি কার্যক্রম চালাচ্ছিলো একটি চক্র। গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি ডাকাতি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এমন রহস্য উদঘাটন করেছে। এ ঘটনায় ৪১টি গরুসহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৬ ডাকাতকে। আশুলিয়ার দক্ষিণ নাল্লাপোল্লা গ্রামের এই খামারেই রাখা হতো লুণ্ঠিত সব পশু। দিনের পর দিন ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করে আসছিলো ডাকাত চক্র।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চক্রবর্তী এলাকায় দিনাজপুর থেকে আসা একটি ট্রাক গতিরোধ করে ১৪টি গরু লুট করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় জিএমপির কাশিমপুর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। পরে এই মামলার সূত্র ধরেই গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ সন্ধান পায় মূল অভিযুক্ত সুমনের। তার মালিকানাধীন ডেইরি ফার্ম থেকে উদ্ধার করা হয় ৪১টি গবাদি পশু। সুমন গবাদীপুশু ক্রয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারে নি। পরে মামলার বাদী ছাদেক ওই খামারে গিয়ে তার চুরি হওয়া ১১টি গরু শনাক্ত করেন। পরবর্তীতে সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর ও বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে আরো ৫ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে জিএমপির সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলো : টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার পাইশানা গ্রামের মৃত পানু ও চাঁনু বাদ্যকরের ছেলে মরন দাস ওরফে সুমন ওরফে তাপস (৩৫), রংপুর জেলার কাউনিয়া থানার নিজপাড়া গ্রামের মো: ফজলুল হকের ছেলে আসাদুজ্জামান বাবু (৩০), মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাগুটিয়া চরকাটারী পাড়া গ্রামের মো: শুকচান মোল্লার ছেলে মো: শহীদুল ইসলাম, বগুড়া জেলার ধনুট থানার বামননগর গ্রামের মৃত রাজীব জামানের ছেলে মো: আব্দুল মালেক (৪০), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বাগুটিয়া গ্রামের মৃত প্রদীপ রাজবংশীর ছেলে দুর্জয় রাজবংশী ওরফে জাইল্লা (২৮), ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার চাকোলগ্রাম এলাকার আব্দুল করিম সর্দ্দারের মো: আল আমীন (২৯)। তারা গাজীপুর, ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছেন।
তিনি আরো জানান, এরই মধ্যে ১৩টি গরু শনাক্ত করেছেন পশুর মালিকরা। যাচাই বাছাই করে অন্য গরুগুলো মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।