নিরাপদ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে বাংলাদেশ থেকে আপলোড হওয়া ২৬ লাখের বেশি ভিডিও সরিয়েছে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় শর্ট-ফর্ম ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটক।
২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছে টিকটক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কমিউনিটি গাইডলাইন অমান্য করায় ১ অক্টোবর ২০২১ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০২১ সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩৭২টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক, যা অপসারণ করা ভিডিওর হিসেবে বিশ্বের মধ্যে সপ্তম।
টিকটক কর্তৃপক্ষ জানায়, সর্বশেষ কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট অনুযায়ী; গাইডলাইন না মানায় ৯৪.১% ভিডিও পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলা হয়, কোনো ব্যবহারকারী রিপোর্ট দেয়ার আগেই ৯৫.২% ভিডিও সরানো সম্ভব হয় এবং ৯০.১% ভিডিও কোনো ভিউ পাওয়ার আগে সরিয়ে নেয়া হয়।
এবার যে বিষয়ে টিকটক এগিয়েছে তা হলো দেখার আগেই কনটেন্ট অপসারণ করার ক্ষমতা। এর মধ্যে ১৪.৭% হয়রানি এবং বুলিং এর জন্য, ১০.১% ঘৃণা ছড়ানোর জন্য, ১৬.২% সহিংস চরমপন্থার জন্য এবং ৭.৭% বিপজ্জনক কাজের জন্য।
সর্বশেষ কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্টটিতে কমিউনিটির সুরক্ষাকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি এবং প্ল্যাটফর্মে উত্সাহিত করার প্রতিশ্রুতির আপডেটগুলো যুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে প্ল্যাটফর্মটির গাইডলাইন লঙ্ঘন করা কনটেন্ট শনাক্ত, ফ্ল্যাগিং এবং অপসারণ করার সময় সিস্টেমের চলমান উন্নতি সম্পর্কেও তথ্য সরবরাহ করা হয়।
টিকটক জানায়, ২০২১ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী ৮ কোটি ৫৭ লাখ ৯৪ হাজার ২২২টি ভিডিও তাদের প্ল্যাটফর্ম থেকে অপসারণ করা হয়েছে, যা টিকটকে এ সময়ের মধ্যে আপলোড করা ভিডিওর প্রায় ১ শতাংশ। প্রায় ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ ভিডিও কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুছে ফেলা হয়েছে, কোনো ব্যবহারকারী রিপোর্ট করার আগেই সরানো সম্ভব হয়েছে ৯৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং ৯০ দশমিক ১ শতাংশ ভিডিও কোনো ভিউ পাওয়ার আগে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে থেকে সরানো কনটেন্টের মধ্যে হয়রানি এবং বুলিং কনটেন্ট সরানো হয়েছে ১৪.৭ শতাংশ, ঘৃণ্য আচরণের জন্য ১০.১ শতাংশ, সহিংস চরমপন্থার জন্য ১৬.২ শতাংশ এবং বিপজ্জনক কাজের জন্য ৭.৭ শতাংশ কনটেন্ট অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। গাইড লাইনস রক্ষা না হওয়ায় ভিউ হওয়ারও আগেই কন্টেন্ট সরানো হয়েছে বলে জানিয়েছে টিকটক।
টিকটকের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শ্রদ্ধা, দয়া ও সহনশীলতার ভিত্তিতে টিকটকে আমাদের কমিউনিটি গড়ে তোলা উচিত। আমাদের নিয়মের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মানুষকে ইতিবাচক ডিজিটাল সংযোগ তৈরিতে সহায়তার জন্য আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা চাই আমাদের ব্যবহারকারী নিজেদের মধ্যে সদাচার ও সম্প্রীতি বজায় রাখুক। মানুষকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে নিয়মের তো কোনো শেষ নেই। আমরা কমিউনিটির কল্যাণের প্রতি সদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’