গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতায় করণীয় কী?

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে আনতে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, তাঁর যত্নটা কতখানি নেওয়া হয়? আমরা কি আসলেই জানি গর্ভাবস্থায় মায়ের কেমন যত্ন নেওয়া হলে শিশু থাকবে সুস্থ সবল এবং হবে মানসিকভাবে পূর্ণ বিকশিত? মা হন বা নাই হন, জানতে হবে আপনাদের সবাইকে বিশেষ করে মেয়েদের জানা খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতায় করণীয় কী? গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতার আসুন কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতায় করণীয়

১. খাদ্য ও ব্যায়াম

প্রথম তিন মাসে শিশুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গঠন হয়। এ সময় মাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মদ, সিগারেট খেলে সন্তান হতে পারে বিকলাঙ্গ। আঁশ জাতীয় খাবার, মাছ-মাংস, ফলমূল ও শাক-সবজি খেতে হবে। খেয়াল  রাখতে হবে প্রস্রাব-পায়খানা ঠিক মত হচ্ছে কিনা। হালকা ব্যায়াম করতে হবে কিন্তু ভারি কাজ করা যাবে না। ঝুকে বা নুয়ে কাজ না করাই উচিত। হাঁটা চলায় সাবধান হতে হবে। এগুলো আমরা সবাই জানি কিন্তু ঠিক মত পালন করি না। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সচেতন থাকতে হবে ।

২. চিকিৎসা

গর্ভবতী মা এর রক্ত পরীক্ষা করতে হবে, ডেলিভারির আগে রক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার পাশাপাশি কিছু পরীক্ষা করতে হবে যা বাচ্চার জন্মগত কোন রোগ হওয়ার আশংকা বাতিল করবে। TORCHES TEST করা জরুরী।

 

সিফিলিস যে জন্মগত ভাবে হতে পারে জানেন না অনেকেই। জার্মান মিজলস হলেও সন্তানের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সমস্যা হতে পারে। এইডস ও জন্মগত হতে পারে। গর্ভবতী মাকে ধনুষ্টঙ্কার এর টিকা দিতে হবে। ANTENATAL অন্ততপক্ষে ১৩ টি ভিজিট করতে হবে বাচ্চার শারীরিক অবস্থা ও মায়ের অবস্থা জানার জন্যে । বাচ্চার মাথা আর শরীরের গঠন দেখে ডাক্তার থেকে নিশ্চিত হতে হবে সিজার অথবা নরমাল, কোনটা ভালো অপশন হবে।

গর্ভাবস্থায় কয়েকটি বিপদ চিহ্ন

১. রক্তপাত,

২. মাথা ব্যথা / চোখে ঝাপসা দেখা,

৩. ঘণ্টায় ৪ বারের বেশি পেত মোচড় দেয়া,

৪. জ্বর,

৫. বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া,

৬. পা ফুলে যাওয়া ও

৭. বমি হওয়া।

এই সব এর যে কোন একটা থাকলে ও তৎক্ষণাৎ ডাক্তার এর দারস্থ হতে হবে।

মানসিক প্রশান্তি

সুস্থ পরিবেশ ই শুধু একটা সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে পারে। এ সময় ধর্মীয় বই পুস্তক পাঠ করলে, সুন্দর সন্তানের স্বপ্ন দেখলে বাস্তবেও সুন্দর, সুস্থ বাচ্চার জন্ম দেয়া সম্ভব। এটা বর্তমানে বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রমানিত যে মায়ের সাথে সন্তানের আত্তিক সম্পর্ক থাকে । কাজেই মাকে আনন্দে থাকতে হবে, পরিবারকেও মাকে সাপোর্ট দিতে হবে।

 

পরিশেষে একটা কথা না বললেই নয়, মা সন্তানের প্রথম বিদ্যালয়, প্রথম শিক্ষক এবং প্রথম কাছের মানুষ। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে মাকেও নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সূএ: সাজগোজ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জাতিসংঘের ৮০তম সভায় যোগ দিতে ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

» মামলাজট কমাতে সহায়তা করতে পারে গ্রাম আদালত

» আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

» র‌্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা

» রাজাকারের নাতিপুতি আখ্যা দেওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল অপমানজনক

» নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষ পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেবে: টুকু

» রাতারগুলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার পাশে থাকবে: আসিফ নজরুল

» প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘে যাচ্ছেন ৪ রাজনীতিবিদকে নিয়ে

» এবারের দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুর্গাপূজায় আমাদের সর্বোচ্চ সতর্ক ও প্রতিরোধের প্রস্তুতি থাকতে হবে: তারেক রহমান

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতায় করণীয় কী?

আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাকে এই সুন্দর পৃথিবীতে আনতে যার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি, তাঁর যত্নটা কতখানি নেওয়া হয়? আমরা কি আসলেই জানি গর্ভাবস্থায় মায়ের কেমন যত্ন নেওয়া হলে শিশু থাকবে সুস্থ সবল এবং হবে মানসিকভাবে পূর্ণ বিকশিত? মা হন বা নাই হন, জানতে হবে আপনাদের সবাইকে বিশেষ করে মেয়েদের জানা খুবই জরুরী। গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতায় করণীয় কী? গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতার আসুন কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর সুস্থতায় করণীয়

১. খাদ্য ও ব্যায়াম

প্রথম তিন মাসে শিশুর অঙ্গ প্রত্যঙ্গের গঠন হয়। এ সময় মাকে অবশ্যই পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মদ, সিগারেট খেলে সন্তান হতে পারে বিকলাঙ্গ। আঁশ জাতীয় খাবার, মাছ-মাংস, ফলমূল ও শাক-সবজি খেতে হবে। খেয়াল  রাখতে হবে প্রস্রাব-পায়খানা ঠিক মত হচ্ছে কিনা। হালকা ব্যায়াম করতে হবে কিন্তু ভারি কাজ করা যাবে না। ঝুকে বা নুয়ে কাজ না করাই উচিত। হাঁটা চলায় সাবধান হতে হবে। এগুলো আমরা সবাই জানি কিন্তু ঠিক মত পালন করি না। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সচেতন থাকতে হবে ।

২. চিকিৎসা

গর্ভবতী মা এর রক্ত পরীক্ষা করতে হবে, ডেলিভারির আগে রক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করার পাশাপাশি কিছু পরীক্ষা করতে হবে যা বাচ্চার জন্মগত কোন রোগ হওয়ার আশংকা বাতিল করবে। TORCHES TEST করা জরুরী।

 

সিফিলিস যে জন্মগত ভাবে হতে পারে জানেন না অনেকেই। জার্মান মিজলস হলেও সন্তানের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সমস্যা হতে পারে। এইডস ও জন্মগত হতে পারে। গর্ভবতী মাকে ধনুষ্টঙ্কার এর টিকা দিতে হবে। ANTENATAL অন্ততপক্ষে ১৩ টি ভিজিট করতে হবে বাচ্চার শারীরিক অবস্থা ও মায়ের অবস্থা জানার জন্যে । বাচ্চার মাথা আর শরীরের গঠন দেখে ডাক্তার থেকে নিশ্চিত হতে হবে সিজার অথবা নরমাল, কোনটা ভালো অপশন হবে।

গর্ভাবস্থায় কয়েকটি বিপদ চিহ্ন

১. রক্তপাত,

২. মাথা ব্যথা / চোখে ঝাপসা দেখা,

৩. ঘণ্টায় ৪ বারের বেশি পেত মোচড় দেয়া,

৪. জ্বর,

৫. বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া,

৬. পা ফুলে যাওয়া ও

৭. বমি হওয়া।

এই সব এর যে কোন একটা থাকলে ও তৎক্ষণাৎ ডাক্তার এর দারস্থ হতে হবে।

মানসিক প্রশান্তি

সুস্থ পরিবেশ ই শুধু একটা সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিতে পারে। এ সময় ধর্মীয় বই পুস্তক পাঠ করলে, সুন্দর সন্তানের স্বপ্ন দেখলে বাস্তবেও সুন্দর, সুস্থ বাচ্চার জন্ম দেয়া সম্ভব। এটা বর্তমানে বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রমানিত যে মায়ের সাথে সন্তানের আত্তিক সম্পর্ক থাকে । কাজেই মাকে আনন্দে থাকতে হবে, পরিবারকেও মাকে সাপোর্ট দিতে হবে।

 

পরিশেষে একটা কথা না বললেই নয়, মা সন্তানের প্রথম বিদ্যালয়, প্রথম শিক্ষক এবং প্রথম কাছের মানুষ। তাই সন্তানকে সুস্থ রাখতে মাকেও নিজের শরীরের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। সূএ: সাজগোজ ডট কম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com