গরু বলে মহিষের মাংস বিক্রি, আলোর ঝলকে বোঝাই দায়

চট্টগ্রামের হাট-বাজারে মাছ-মাংস, সবজিসহ প্রতিটি পণ্য বিক্রয়ে ব্যবহার হচ্ছে অতি উজ্জ্বল আলোর বাতি। পঁচা মাছ বা সবজিকে তাজা দেখিয়ে— এমনকি মহিষের মাংসকে গরু বলে চালিয়ে দিতেও বিক্রেতারা এ বাতির আশ্রয় নিচ্ছেন। এমন ঘটনার প্রমাণও মিলেছে আজ। 

 

মঙ্গলবার  সকালে চট্টগ্রামের চকবাজারে ক্রেতাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরুর নামে দেদারসে বিক্রি হচ্ছিল মহিষের মাংস। যা বুঝতে পারছিলো না কোনো ক্রেতাই। কিন্তু বাজারে হঠাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।

কীভাবে মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে দেদারসে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা— এই দৃশ্য দেখে চোখ ছানাবড়া বাজার মনিটরিং টিমের সদস্যদেরও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিক্রেতা আমতা আমতা করলেও পরে ম্যাজিস্ট্রেটের ধমকে অকপটে স্বীকার করে জানালেন আলোর বাতির ঝলকের কথা। যা শুনে অবাক উপস্থিত ক্রেতারাও।

 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। তিনি বলেন, মাছ-মাংস বা সবজির বাজারে হরেক রকমের আলোকসজ্জার ব্যবহারের রীতি বেশ পুরনো। নিমিষেই ক্রেতার চোখও ফাঁকি দেয়া যায় এ পন্থায়। এটি বন্ধে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টা বাতি ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমে ভোক্তার সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে।

 

নগরীর ঈদগাঁ কাঁচাবাজারে গিয়েও দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দোকানে সবুজ বাতি, মাছের দোকানে অতি উজ্জ্বল হলুদ বাতি ও মাংসের দোকানে লাল ঝলকানো বাতির ব্যবহার। ফলে বাজারে থাকা প্রতিটি সবজি, বরফ ছোঁয়া মাছ ও ঝোলানো মাংসগুলোকে টাটকা আর সতেজ মনে হচ্ছিল। অথচ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যেতেই সতেজতা হারায় সবজিগুলো।

 

এ বিষয়ে বাজারের মাছ বিক্রেতারা বলেন, ক্রেতা যাতে দেখেশুনে মাছ কিনতে পারেন তাই এ ব্যবস্থা। ‘তবে দিনের আলোতেও বাতি কেন, এতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে না?’— এমন প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। বরং বিরক্তির সুরে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘মাছ কিনলে কিনেন, নইলে চলে যান। বেচাবিক্রির টাইমে ভেজাল করিয়েন না।

 

কর্ণফুলী মার্কেটে মাছ বাজারে চিংড়ি মাছের ওপরে অতি উজ্জ্বল ও হলুদ বাতিসহ বিভিন্ন ধরনের বাতি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়া একজন মাছ ব্যবসায়ী প্রতিটি পাত্রের উপর তিন থেকে চারটি করে বাতি জ্বালিয়ে রাখছেন। সেখানে ব্যবসায়ীদের একই প্রশ্ন করলে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি কেউই।

 

একই বাজারে সবজি বিক্রেতা মামুন বলেন, আমরা পাইকারের কাছ থেকে আলু, পেঁয়াজ, বরবটি, গাজর, লাউ, ঝিঙ্গা, কাকরোল, পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি কিনে এনে তা ধুয়ে ফেলি এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া সবজিগুলো আলাদা করে রাখি। আমরা কোন পঁচা সবজি বিক্রি করি না। তবে হ্যা, সবজিগুলো সুন্দর ও পরিস্কারভাবে দেখাতে আমরা বাতি ব্যবহার করি।

 

গাজর কিনছিলেন গাজী ফয়সাল নামের একজন। তিনি বলেন, বাতি ব্যবহার হোক আমরা চাই না। কারণ সবজির উপর বিভিন্ন বাতি জ্বালিয়ে এটাকে এত বেশি সতেজ ও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়, না কিনে আর উপায় থাকে না। কারণ ভালো জিনিসটা সকলেই পেতে চায়। কিন্তু বাসায় গেলে অনেক সময় সবজির গায়ে দাগ বা পচে যাওয়া অংশ চোখে পড়ে।

নগরীর বহদ্দারহাটেও মাছ-মাংস, সবজি, ফলের দোকানসহ সব রকম ভোগ্যপণ্যে অতি উজ্জ্বল বাতি ব্যবহার করতে দেখা যায়। হাটের মাছ বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের দোকান মার্কেটের ভেতরে। বাতি না জ্বালালে সব অন্ধকার লাগে। বেচা-বিক্রিতে সমস্যা হয়। তাই বাতি জ্বালাতে হয়।

হাটে মাছ কিনতে আসা মনজুর হোসেন বলেন, নগরে অনেকগুলো বড় বাজার রয়েছে। এগুলোতে মাছ ব্যবসায়ীরা চার-পাঁচ ধরনের বাতি মাছের ওপরে জ্বালিয়ে রাখেন। এতে করে মাছের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। গতকাল আমি মাছ কিনে বাসায় নেয়ার পর দেখি মাছগুলো পঁচে গেছে। সব টাকাই জলে গেছে।

 

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন আক্তার পারু বলেন, ব্যবসায় মুনাফা থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু অতি মুনাফার লোভে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সবজি, মাছসহ বিভিন্ন পণ্যের উপর নানা রঙের বাতি লাগিয়ে প্রতারণা করছেন। এটা অনৈতিক। বিদ্যুতেরও অপচয় হচ্ছে। তাই এ ধরনের প্রতারণা রোধে ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, কাঁচাবাজারে মাছ-মাংস ও সবজির উপর বিভিন্ন রঙের বাতির ব্যবহার আমরা দেখতে পাই। এ বাতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রেতারা নানাভাবে প্রতারণা করে থাকেন।

 

তিনি বলেন, মহিষের মাংস কালো, গরুর মাংস লাল। মাংসের উপর বাতি ব্যবহার করায় সব ধরণের মাংসই লাল মনে হয়। এতে করে অনেক সময় কিছু ব্যবসায়ী প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে ওই দামেই বিক্রি করে থাকেন। তাছাড়া বাতি জ্বালিয়ে পঁচা ও রং মিশ্রিত মাছ তাজা দেখিয়ে বিক্রি করছেন, এটাও চরম ধোঁকাবাজি।

 

তিনি আরও বলেন, বাতি ব্যবহার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবুও ব্যবসায়ীদের আমরা সতর্ক করি, একটি করে সাদা বাতি ব্যবহারের পরামর্শ দিই। যেটি তারা মানছে না। ক্রেতারা যদি প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দেয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র দিলেন বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রদূত

» ড. ইউনূস চান সার্কের কার্যক্রম শুরু হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

» দুদকের মামলায় হাইকোর্টে ওসি প্রদীপের স্ত্রীর জামিন

» থার্টিফার্স্ট নাইটে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্ট

» সিরিয়ায় আসাদের পতন নিয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ

» জেনে রাখুন এই ভুলে গিজার বিস্ফোরণ হয়

» গাঁজা সেবন নিয়ে বিরোধে যুবক খুন, গ্রেফতার ২

» আটকে দেওয়া হলো বিএনপির তিন সংগঠনের পদযাত্রা

» ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্য প্রতিহত করতে প্রস্তুত: রিজভী

» অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশিদের বাংলাদেশে থাকতে দেওয়া হবে না: জাহাঙ্গীর আলম

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

গরু বলে মহিষের মাংস বিক্রি, আলোর ঝলকে বোঝাই দায়

চট্টগ্রামের হাট-বাজারে মাছ-মাংস, সবজিসহ প্রতিটি পণ্য বিক্রয়ে ব্যবহার হচ্ছে অতি উজ্জ্বল আলোর বাতি। পঁচা মাছ বা সবজিকে তাজা দেখিয়ে— এমনকি মহিষের মাংসকে গরু বলে চালিয়ে দিতেও বিক্রেতারা এ বাতির আশ্রয় নিচ্ছেন। এমন ঘটনার প্রমাণও মিলেছে আজ। 

 

মঙ্গলবার  সকালে চট্টগ্রামের চকবাজারে ক্রেতাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে গরুর নামে দেদারসে বিক্রি হচ্ছিল মহিষের মাংস। যা বুঝতে পারছিলো না কোনো ক্রেতাই। কিন্তু বাজারে হঠাৎ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য।

কীভাবে মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে দেদারসে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা— এই দৃশ্য দেখে চোখ ছানাবড়া বাজার মনিটরিং টিমের সদস্যদেরও। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিক্রেতা আমতা আমতা করলেও পরে ম্যাজিস্ট্রেটের ধমকে অকপটে স্বীকার করে জানালেন আলোর বাতির ঝলকের কথা। যা শুনে অবাক উপস্থিত ক্রেতারাও।

 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। তিনি বলেন, মাছ-মাংস বা সবজির বাজারে হরেক রকমের আলোকসজ্জার ব্যবহারের রীতি বেশ পুরনো। নিমিষেই ক্রেতার চোখও ফাঁকি দেয়া যায় এ পন্থায়। এটি বন্ধে কোন সুস্পষ্ট বিধান নেই। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা অন্তত পাঁচ থেকে ছয়টা বাতি ব্যবহার করছেন। এর মাধ্যমে ভোক্তার সাথে প্রতারণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমাণে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে।

 

নগরীর ঈদগাঁ কাঁচাবাজারে গিয়েও দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দোকানে সবুজ বাতি, মাছের দোকানে অতি উজ্জ্বল হলুদ বাতি ও মাংসের দোকানে লাল ঝলকানো বাতির ব্যবহার। ফলে বাজারে থাকা প্রতিটি সবজি, বরফ ছোঁয়া মাছ ও ঝোলানো মাংসগুলোকে টাটকা আর সতেজ মনে হচ্ছিল। অথচ হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যেতেই সতেজতা হারায় সবজিগুলো।

 

এ বিষয়ে বাজারের মাছ বিক্রেতারা বলেন, ক্রেতা যাতে দেখেশুনে মাছ কিনতে পারেন তাই এ ব্যবস্থা। ‘তবে দিনের আলোতেও বাতি কেন, এতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে না?’— এমন প্রশ্নের সদুত্তর মেলেনি। বরং বিরক্তির সুরে ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘মাছ কিনলে কিনেন, নইলে চলে যান। বেচাবিক্রির টাইমে ভেজাল করিয়েন না।

 

কর্ণফুলী মার্কেটে মাছ বাজারে চিংড়ি মাছের ওপরে অতি উজ্জ্বল ও হলুদ বাতিসহ বিভিন্ন ধরনের বাতি ব্যবহার করতে দেখা যায়। এছাড়া একজন মাছ ব্যবসায়ী প্রতিটি পাত্রের উপর তিন থেকে চারটি করে বাতি জ্বালিয়ে রাখছেন। সেখানে ব্যবসায়ীদের একই প্রশ্ন করলে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেননি কেউই।

 

একই বাজারে সবজি বিক্রেতা মামুন বলেন, আমরা পাইকারের কাছ থেকে আলু, পেঁয়াজ, বরবটি, গাজর, লাউ, ঝিঙ্গা, কাকরোল, পেঁপেসহ বিভিন্ন সবজি কিনে এনে তা ধুয়ে ফেলি এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া সবজিগুলো আলাদা করে রাখি। আমরা কোন পঁচা সবজি বিক্রি করি না। তবে হ্যা, সবজিগুলো সুন্দর ও পরিস্কারভাবে দেখাতে আমরা বাতি ব্যবহার করি।

 

গাজর কিনছিলেন গাজী ফয়সাল নামের একজন। তিনি বলেন, বাতি ব্যবহার হোক আমরা চাই না। কারণ সবজির উপর বিভিন্ন বাতি জ্বালিয়ে এটাকে এত বেশি সতেজ ও আকর্ষণীয় করে তোলা হয়, না কিনে আর উপায় থাকে না। কারণ ভালো জিনিসটা সকলেই পেতে চায়। কিন্তু বাসায় গেলে অনেক সময় সবজির গায়ে দাগ বা পচে যাওয়া অংশ চোখে পড়ে।

নগরীর বহদ্দারহাটেও মাছ-মাংস, সবজি, ফলের দোকানসহ সব রকম ভোগ্যপণ্যে অতি উজ্জ্বল বাতি ব্যবহার করতে দেখা যায়। হাটের মাছ বিক্রেতা নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের দোকান মার্কেটের ভেতরে। বাতি না জ্বালালে সব অন্ধকার লাগে। বেচা-বিক্রিতে সমস্যা হয়। তাই বাতি জ্বালাতে হয়।

হাটে মাছ কিনতে আসা মনজুর হোসেন বলেন, নগরে অনেকগুলো বড় বাজার রয়েছে। এগুলোতে মাছ ব্যবসায়ীরা চার-পাঁচ ধরনের বাতি মাছের ওপরে জ্বালিয়ে রাখেন। এতে করে মাছের প্রকৃত অবস্থা বোঝা যায় না। গতকাল আমি মাছ কিনে বাসায় নেয়ার পর দেখি মাছগুলো পঁচে গেছে। সব টাকাই জলে গেছে।

 

কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জেসমিন আক্তার পারু বলেন, ব্যবসায় মুনাফা থাকবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু অতি মুনাফার লোভে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সবজি, মাছসহ বিভিন্ন পণ্যের উপর নানা রঙের বাতি লাগিয়ে প্রতারণা করছেন। এটা অনৈতিক। বিদ্যুতেরও অপচয় হচ্ছে। তাই এ ধরনের প্রতারণা রোধে ব্যবসায়ীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, কাঁচাবাজারে মাছ-মাংস ও সবজির উপর বিভিন্ন রঙের বাতির ব্যবহার আমরা দেখতে পাই। এ বাতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিক্রেতারা নানাভাবে প্রতারণা করে থাকেন।

 

তিনি বলেন, মহিষের মাংস কালো, গরুর মাংস লাল। মাংসের উপর বাতি ব্যবহার করায় সব ধরণের মাংসই লাল মনে হয়। এতে করে অনেক সময় কিছু ব্যবসায়ী প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মহিষের মাংসকে গরুর মাংস বলে ওই দামেই বিক্রি করে থাকেন। তাছাড়া বাতি জ্বালিয়ে পঁচা ও রং মিশ্রিত মাছ তাজা দেখিয়ে বিক্রি করছেন, এটাও চরম ধোঁকাবাজি।

 

তিনি আরও বলেন, বাতি ব্যবহার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন নেই। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবুও ব্যবসায়ীদের আমরা সতর্ক করি, একটি করে সাদা বাতি ব্যবহারের পরামর্শ দিই। যেটি তারা মানছে না। ক্রেতারা যদি প্রতারিত হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ দেয়, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব। সূএ:ঢাকা পোস্ট ডটকম

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com