সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় খুলনায় গণ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মিছিলে নেতৃত্ব দিতে খুলনায় পৌঁছেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। কিন্তু মিছিলকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নগরীতে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নগরীর পিকচার প্যালেস, সদর থানা মোড়সহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল কামান ও সাঁজোয়া যান।
এদিকে, বিএনপি কার্যালয়ের সামনে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে নেতাকর্মীদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটির নেতারা।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, গণসমাবেশ বানচালের চেষ্টা করছে পুলিশ। বুধবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া আতংক ছড়াতে বাড়ি বাড়ি অভিযান চালানো হচ্ছে।
বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে। মিছিলটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিববাড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হবে।
খুলনার গণমিছিলে নেতৃত্ব দেবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. মঈন খান। মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির সদস্য রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয়সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর। এদের সবাই আজ (শনিবার) সকালে খুলনায় পৌঁছেছেন।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার, ধরপাকড় ও জলকামান দিয়ে গণমিছিল বন্ধ করতে পারবে না পুলিশ। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত আছে। নির্ধারিত সময়ে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘বিএনপিকে তাদের গণমিছিল কর্মসূচি দলীয় কার্যালয়ের সামনেই করতে হবে। এর বাইরে করার অনুমতি নেই। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে শহরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।