হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসবে। সোমবার (১৩ জুন) বিকেল ৫টায় এই বৈঠক হবে। পরে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ব্রিফ করা হবে।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শুক্রবার (১০ জুন) রাত ৩টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বৈঠক করে জরুরিভিত্তিতে এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুপুরে অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে এনজিওগ্রাম করা হলে ব্লক ধরা পড়ায় সেখানে রিং পরানো হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হার্ট অ্যাটাকের পর বর্তমানে মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, শনিবার বেলা দুটা থেকে খালেদা জিয়াকে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত উনি শারীরিকভাবে যে অবস্থায় আছেন, ডাক্তারদের বক্তব্য হলো, ৭২ ঘণ্টা না গেলে কোনো কমেন্ট করা ঠিক হবে না। সেজন্য তাঁরা কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন।
সিসিইউতে খালেদা জিয়াকে কার্ডিওলজিস্টদের পর্যবেক্ষণে রাখার কথা জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ম্যাডামের হার্টে এনজিওগ্রাম করার পর তিনটা ব্লক পাওয়া যায়। একটা ব্লক মেইন গ্রেট ভেসেল, যেটা লেফট সাইডে, সেটায় মোর দ্য ৯৯ শতাংশ ব্লক ছিল। সেটিতে এনজিওগ্রাম করার পর রিং পরানো হয়।
এই চিকিৎসক বলেন, বাকি দুটি ব্লকের মধ্যে একটির অবস্থা ৬০ শতাংশ বেশি অপরটি ৪৫ শতাংশ। এ দুটি ব্লক নিয়েও চিন্তিত আছি। আচরণ কেমন হবে তা এখন বলা মুশকিল। বর্তমানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল খালেদা জিয়াকে দেখভাল করছে।