খাবার হোটেল বদলে গেছে মূল্যতালিকা

ঢাকার হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। অধিকাংশ খাবারেরই দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। এতে বিপাকে পড়েছেন হোটেলে খাওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। তারা বলছে, খাবারের দাম এতবেশি বেড়েছে যে, শুধুমাত্র সবজি দিয়ে ভাত খেলেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচ হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজি ও মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি এবং মাংসের দাম। ফলে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, দাম না বাড়ালে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

 

আগারগাঁওয়ের সোলাইমান রেস্টুরেন্টে ২০ টাকার ভাত, ডাল ও ভাজি বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ টাকায়। এ হিসাবে খাবারগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে ২৫ শতাংশ করে।

 

এই রেস্টুরেন্টের ২০ টাকার নান রুটি ২৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা। ১২০ টাকার রুইমাছ ১৩০ টাকা করা হয়েছে। ৮০ টাকার কাশমেরী নান বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

কাওরানবাজারে অবস্থিত হোটেল সুপার স্টারে ডালের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ ৩০ টাকার ডাল বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫ টাকায়। শুধু তাই নয়, তন্দুরি রুটিতে বাড়ানো হয়েছে ২০ শতাংশ। সে হিসাবে ১০ টাকার রুটির দাম হয়েছে ১২ টাকা পিস। ৪২ টাকার ভাজি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকা। ৩০ টাকা প্লেটের শাকের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫ টাকা অর্থাৎ দাম বাড়ানো হয়েছে ১৭ শতাংশ। ১৫ টাকার পাতলা নান রুটি হয়েছে ২০ টাকা, বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। ২০ টাকার স্পেশাল পরোটা ২৫ টাকা। ১০ টাকার ডালপুরি ১২ টাকা, বেড়েছে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া ৩০ টাকার শাক হয়েছে ৩৫ টাকা, বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ৩০ টাকার লাউ হয়েছে ৩৫ টাকা। ৫২ টাকার কফি ৫৫ টাকা, ২০ টাকার চা ২৫ টাকা কাপ, ১৮০ টাকার লাচ্চি ২০০ টাকা, ৫২ টাকার মোগলাই পরোটা ৫৫ টাকা পিস বিক্রি করা হচ্ছে। ২০শে মার্চ থেকে এভাবে ওই হোটেলের পণ্য তালিকার ৯৮টি পণ্যের মধ্যে প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।
কাওরানবাজারের ক্যাফে সৌদিয়া রেস্তরাঁ ঘুরে দেখা গেছে ২০ টাকার নানরুটি ২৫ টাকা, ২০ টাকার ভাজি ৩০ টাকা, ১৫ টাকার ডিম ভাজি ২০ টাকা, ১৫ টাকার ভর্তা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই হোটেলের প্রায় প্রতিটি খাবারের দামই ২৫ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে।

 

ফার্মগেটের হোটেল নিউ স্টার অ্যান্ড কাবাবে ১০ টাকার সাদা পরোটা বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। এ হিসাবে খাবারের দাম বেড়েছে পরোটার দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। ২০ টাকার স্পেশাল নান ও পরটা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। অর্থ্যাৎ ২৫ শতাংশ বেড়েছে। তন্দুরি রুটি ২০ শতাংশ বেড়ে ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ২০ টাকার ভাজি ও ভর্তা ২৫ টাকা, ২৫ টাকার মসুর ডাল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই হোটেলের পণ্য তালিকার ৭৮টি পণ্যের মধ্যে প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।
শুধুমাত্র সোলেমান ও সৌদিয়া নয়, রাজধানীর ছোট-বড় প্রায় সব হোটেলে রমজান মাসের আগেই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের খাবারের দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়েছেন কোনো কোনো হোটেল মালিকরা। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর অজুহাতে তারা এভাবে দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তেল থেকে শুরু করে পিয়াজ, আদা রসুনের দাম কমতে শুরু করলেও হোটেলের খাবারের দাম কমবে না বলে জানিয়েছে বিভিন্ন হোটেল মালিক।

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেস্তরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান  বলেন, বর্তমানে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সবাই নিজের মতো করে ব্যবসা করছে। কাজেই একেক জন একেক রকম পণ্যের দাম নিবে এটাই স্বাভাবিক। বড় হোটেলে কর্মচারীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচালনা খরচ বেশি। তাই বড় হোটেলগুলোতে পণ্যের দাম বেশি বেড়েছে। হোটেলগুলোকে টিকিয়ে রাখতে হলে দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, এখন তেল, গরুর মাংসসহ সবকিছুর দামই বাড়ছে। বাধ্য হয়ে আমরা যেসব নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে তা টিসিবি’র মাধ্যমে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে হোটেল নিউ স্টার এন্ড কাবাবের ম্যানেজার বলেন, ১ মাস আগে জিনিস কিনতে যা খরচ হতো, একই পরিমাণ জিনিস কিনতে এখন তার চেয়ে ২০ হাজার টাকা বেশি লাগছে। আটা, ময়দা, তেলসহ সবকিছু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ২২০০ টাকার আটার বস্তা হয়েছে ৩৬০০ টাকা, এখনো প্রতি লিটার ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। একইসঙ্গে বিভিন্ন মসলার দামও বেড়েছে। তাহলে কীভাবে দাম কমবে?

 

ক্যাফে সৌদিয়া রেস্তরাঁর ম্যানেজার বলেন, কয়েক মাস থেকে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। জিনিসের দাম বাড়লে খাবারের দাম তো বাড়বেই।

 

সোলাইমান রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে। এই মুহূর্তে খাবারের দাম না বাড়ালে রেস্টুরেন্ট চালানো সম্ভব হবে না। কর্মচারীদের হাজিরা দিয়ে কিছুই থাকে না।

 

সোলাইমান হোটেলে খেতে আসা আহসান হাবিব বলেন, খাবারের দাম এতবেশি বেড়েছে যে আমাদের আর বেঁচে থাকার উপায় নেই। হোটেলে শুধুমাত্র সবজি দিয়ে ভাত খেলেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচ করতে হয়। মাছ মাংসের কথা নাই বললাম। দেশের মানুষ যাবে কোথায়?

 

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান  বলেন, জিনিসের দাম যে হারে বাড়ছে তার চেয়ে হোটেলের খাবারের দাম বহুগুণে বাড়ছে। এটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত না। হোটেলের খাবারের দাম ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো উচিৎ হবে না। তিনি বলেন, একবার হোটেলের খাবারের দাম বাড়লে পরবর্তীতে জিনিসের দাম কমলেও তা আর কমে না।

সূএ: মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আমেরিকার ভিসানীতির পরে বিএনপির নেতৃত্ব ঔদ্ধত্য দেখাচ্ছে: হানিফ

» বিএনপি কি নির্বাচন চায়, তাদের নেতা কে: প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

» ‘সজাগ থাকুন, স্বাধীনতাবিরোধীরা যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে’

» কোনো দলকে পক্ষ করে ভিসা নীতি নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

» রোডমার্চ বৃহত্তর আন্দোলনের প্রাক প্রস্তুতি: নজরুল ইসলাম

» বিশ্বের ‘সবচেয়ে দূরপাল্লার’ ড্রোন উন্মোচন করলো ইরান

» ভিসানীতি নিয়ে সরকার নয়, বিএনপি চাপে আছে: শিক্ষামন্ত্রী

» সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র আহত

» দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাত গ্রেফতার

» আমাদের ইলেকশন কমিশন শতভাগ স্বাধীন: সালমান এফ রহমান

বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।(দপ্তর সম্পাদক)  উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

খাবার হোটেল বদলে গেছে মূল্যতালিকা

ঢাকার হোটেলগুলোতে খাবারের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। অধিকাংশ খাবারেরই দাম বেড়েছে ১৫ থেকে ৩৫ শতাংশ। এতে বিপাকে পড়েছেন হোটেলে খাওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। তারা বলছে, খাবারের দাম এতবেশি বেড়েছে যে, শুধুমাত্র সবজি দিয়ে ভাত খেলেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচ হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজি ও মুদি পণ্যের দাম বেড়েছে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি এবং মাংসের দাম। ফলে যা পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে, দাম না বাড়ালে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

 

আগারগাঁওয়ের সোলাইমান রেস্টুরেন্টে ২০ টাকার ভাত, ডাল ও ভাজি বিক্রি করা হচ্ছে ২৫ টাকায়। এ হিসাবে খাবারগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে ২৫ শতাংশ করে।

 

এই রেস্টুরেন্টের ২০ টাকার নান রুটি ২৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা। ১২০ টাকার রুইমাছ ১৩০ টাকা করা হয়েছে। ৮০ টাকার কাশমেরী নান বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।

কাওরানবাজারে অবস্থিত হোটেল সুপার স্টারে ডালের দাম বাড়ানো হয়েছে ১৭ শতাংশ। অর্থাৎ ৩০ টাকার ডাল বিক্রি করা হচ্ছে ৩৫ টাকায়। শুধু তাই নয়, তন্দুরি রুটিতে বাড়ানো হয়েছে ২০ শতাংশ। সে হিসাবে ১০ টাকার রুটির দাম হয়েছে ১২ টাকা পিস। ৪২ টাকার ভাজি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকা। ৩০ টাকা প্লেটের শাকের দাম রাখা হচ্ছে ৩৫ টাকা অর্থাৎ দাম বাড়ানো হয়েছে ১৭ শতাংশ। ১৫ টাকার পাতলা নান রুটি হয়েছে ২০ টাকা, বেড়েছে ৩৪ শতাংশ। ২০ টাকার স্পেশাল পরোটা ২৫ টাকা। ১০ টাকার ডালপুরি ১২ টাকা, বেড়েছে ২০ শতাংশ। এ ছাড়া ৩০ টাকার শাক হয়েছে ৩৫ টাকা, বেড়েছে ১৭ শতাংশ। ৩০ টাকার লাউ হয়েছে ৩৫ টাকা। ৫২ টাকার কফি ৫৫ টাকা, ২০ টাকার চা ২৫ টাকা কাপ, ১৮০ টাকার লাচ্চি ২০০ টাকা, ৫২ টাকার মোগলাই পরোটা ৫৫ টাকা পিস বিক্রি করা হচ্ছে। ২০শে মার্চ থেকে এভাবে ওই হোটেলের পণ্য তালিকার ৯৮টি পণ্যের মধ্যে প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।
কাওরানবাজারের ক্যাফে সৌদিয়া রেস্তরাঁ ঘুরে দেখা গেছে ২০ টাকার নানরুটি ২৫ টাকা, ২০ টাকার ভাজি ৩০ টাকা, ১৫ টাকার ডিম ভাজি ২০ টাকা, ১৫ টাকার ভর্তা ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই হোটেলের প্রায় প্রতিটি খাবারের দামই ২৫ শতাংশ হারে বাড়ানো হয়েছে।

 

ফার্মগেটের হোটেল নিউ স্টার অ্যান্ড কাবাবে ১০ টাকার সাদা পরোটা বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকায়। এ হিসাবে খাবারের দাম বেড়েছে পরোটার দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। ২০ টাকার স্পেশাল নান ও পরটা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা। অর্থ্যাৎ ২৫ শতাংশ বেড়েছে। তন্দুরি রুটি ২০ শতাংশ বেড়ে ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া ২০ টাকার ভাজি ও ভর্তা ২৫ টাকা, ২৫ টাকার মসুর ডাল ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ওই হোটেলের পণ্য তালিকার ৭৮টি পণ্যের মধ্যে প্রায় সব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে।
শুধুমাত্র সোলেমান ও সৌদিয়া নয়, রাজধানীর ছোট-বড় প্রায় সব হোটেলে রমজান মাসের আগেই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের খাবারের দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়েছেন কোনো কোনো হোটেল মালিকরা। নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানোর অজুহাতে তারা এভাবে দাম বাড়িয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি তেল থেকে শুরু করে পিয়াজ, আদা রসুনের দাম কমতে শুরু করলেও হোটেলের খাবারের দাম কমবে না বলে জানিয়েছে বিভিন্ন হোটেল মালিক।

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ রেস্তরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান  বলেন, বর্তমানে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে সবাই নিজের মতো করে ব্যবসা করছে। কাজেই একেক জন একেক রকম পণ্যের দাম নিবে এটাই স্বাভাবিক। বড় হোটেলে কর্মচারীসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিচালনা খরচ বেশি। তাই বড় হোটেলগুলোতে পণ্যের দাম বেশি বেড়েছে। হোটেলগুলোকে টিকিয়ে রাখতে হলে দাম বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, এখন তেল, গরুর মাংসসহ সবকিছুর দামই বাড়ছে। বাধ্য হয়ে আমরা যেসব নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে তা টিসিবি’র মাধ্যমে নেয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছি।
দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে হোটেল নিউ স্টার এন্ড কাবাবের ম্যানেজার বলেন, ১ মাস আগে জিনিস কিনতে যা খরচ হতো, একই পরিমাণ জিনিস কিনতে এখন তার চেয়ে ২০ হাজার টাকা বেশি লাগছে। আটা, ময়দা, তেলসহ সবকিছু বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তিনি বলেন, ২২০০ টাকার আটার বস্তা হয়েছে ৩৬০০ টাকা, এখনো প্রতি লিটার ১৬০ থেকে ১৭০ টাকার কমে পাওয়া যায় না। একইসঙ্গে বিভিন্ন মসলার দামও বেড়েছে। তাহলে কীভাবে দাম কমবে?

 

ক্যাফে সৌদিয়া রেস্তরাঁর ম্যানেজার বলেন, কয়েক মাস থেকে সব জিনিসের দাম বেড়েছে। জিনিসের দাম বাড়লে খাবারের দাম তো বাড়বেই।

 

সোলাইমান রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে। এই মুহূর্তে খাবারের দাম না বাড়ালে রেস্টুরেন্ট চালানো সম্ভব হবে না। কর্মচারীদের হাজিরা দিয়ে কিছুই থাকে না।

 

সোলাইমান হোটেলে খেতে আসা আহসান হাবিব বলেন, খাবারের দাম এতবেশি বেড়েছে যে আমাদের আর বেঁচে থাকার উপায় নেই। হোটেলে শুধুমাত্র সবজি দিয়ে ভাত খেলেও ৬০ থেকে ৭০ টাকা খরচ করতে হয়। মাছ মাংসের কথা নাই বললাম। দেশের মানুষ যাবে কোথায়?

 

কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান  বলেন, জিনিসের দাম যে হারে বাড়ছে তার চেয়ে হোটেলের খাবারের দাম বহুগুণে বাড়ছে। এটা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত না। হোটেলের খাবারের দাম ১০ শতাংশের বেশি বাড়ানো উচিৎ হবে না। তিনি বলেন, একবার হোটেলের খাবারের দাম বাড়লে পরবর্তীতে জিনিসের দাম কমলেও তা আর কমে না।

সূএ: মানবজমিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।(দপ্তর সম্পাদক)  উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com