ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে সহায়ক কিছু খাবার

গত দু বছরে করোনাভাইরাসের প্রকোপে ক্যান্সার  নিয়ে আলোচনা মূলত কমই হয়েছে। বলা যায়, কোভিডের কারণে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছিল ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতায়। কোভিড যেমন এখনও পুরোপুরি ভাবে বিদায় নেয়নি তেমনই কিন্তু ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যাও কমেনি। ফলে আমাদের ক্যান্সারের কথা ভুললে চলবে না। বরং প্রথম থেকেই নিজের শরীরের খেয়াল রাখুন। কোনও রকম সমস্যা বা অসুবিধা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রাও হোক নিয়ন্ত্রিত। 

 

তবে যারা ক্যানসারে আক্রান্ত তাদের অনেকেরই খাবার নিয়ে একটু সমস্যা হয়। সব রকমের খাবার তারা খেতে পারেন না। ক্ষুদা মন্দা খুবই প্রকট হয়। এছাড়াও কেমোথেরাপির পরও কিন্তু অনেকে খেতে পারেন না। রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি এসবের একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো থাকেই, আর তাই আগে থেকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য বেশি করে প্রোটিন খেতেই হবে। শরীর যাতে রোগের সঙ্গে পুরোপুরি লড়াই করতে পারে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

 

কোভিডের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে চিকিৎসকেরা কিন্তু বার বার জোর দিয়েছেন প্রোটিনের উপর। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্যাকেটজাত খাবার, বেশি ক্রিম ও রং দেওয়া খাবার এসব এড়িয়ে চলুন। ফ্রিজে রাখা কোনও খাবার যদি তিন দিনের বেশি হয়ে যায় তাহলে তা কিন্তু একদমই খাবেন না। এছাড়াও অনেকক্ষণ ধরে কেটে রাখা ফল, অতিরিক্ত মিষ্টি রয়েছে এমন কোনও খাবারও কিন্তু এড়িয়ে চলাই ভাল। যা কিছু রাখবেন প্রতিদিনের ডায়েটে- 

 

ব্রাউন রাইস- 

ভাতের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। সেই সঙ্গে ভাত খাওয়ার সময় একটু বেশিই খাওয়া হয়ে যায়। আর তাই ভাতের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে পারবেন ততই ভাল। ব্রাউন রাইসে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। ফলে তা সহজেই হজম হয়ে যায়।

সবজি- 

প্রতিদিন বিভিন্ন রকম শাকসব্জি অবশ্যই রাখুন ডায়েটে। গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রোকোলি, ভুট্টার দানা, বেল পেপার এসব রঙিন সবজি বেশি করে খান। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ফল- 

প্রতিদিন ফল খান। পেঁপে, পেয়ারা, শসা, আপেল, সফেদা, শাঁখালু এসব ফল রাখুন। আঙুর খেতে পারেন। তবে কোনও ফল খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

টকদই- 

প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন  টক দই। বাড়িতে পাতা টকদই হলে সবচেয়ে ভাল। টকদই দিয়ে রাইতা বানিয়েও খেতে পারেন।

ডিম- 

প্রতিদিন একটা করে ডিম সিদ্ধ খান। দেশি মুরগির ডিম খেতে পারলে ভাল। এছাড়াও চিকেন খান। বানিয়ে নিতে পারেন সবজি দিয়ে চিকেন স্ট্যুও।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

» দেশজুড়ে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস

» ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি আজ

» আজ শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকা-মার্কেট বন্ধ

» দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা এক মণ্ডপে ২০০-র বেশি প্রতিমা-বিগ্রহ! লাখো ভক্তের সমাগমের প্রস্তুতি

» সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে প্রথমবারের মত ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা

» ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল বীমা পলিসি ডক্যুমেন্ট প্রদানের সেবা চালু করল মেটলাইফ বাংলাদেশ

» নওগাঁয় মহিলাসহ ৪ ভুয়া পুলিশ আটক

» প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর

» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে সহায়ক কিছু খাবার

গত দু বছরে করোনাভাইরাসের প্রকোপে ক্যান্সার  নিয়ে আলোচনা মূলত কমই হয়েছে। বলা যায়, কোভিডের কারণে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছিল ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতায়। কোভিড যেমন এখনও পুরোপুরি ভাবে বিদায় নেয়নি তেমনই কিন্তু ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যাও কমেনি। ফলে আমাদের ক্যান্সারের কথা ভুললে চলবে না। বরং প্রথম থেকেই নিজের শরীরের খেয়াল রাখুন। কোনও রকম সমস্যা বা অসুবিধা হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রাও হোক নিয়ন্ত্রিত। 

 

তবে যারা ক্যানসারে আক্রান্ত তাদের অনেকেরই খাবার নিয়ে একটু সমস্যা হয়। সব রকমের খাবার তারা খেতে পারেন না। ক্ষুদা মন্দা খুবই প্রকট হয়। এছাড়াও কেমোথেরাপির পরও কিন্তু অনেকে খেতে পারেন না। রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি এসবের একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো থাকেই, আর তাই আগে থেকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার জন্য বেশি করে প্রোটিন খেতেই হবে। শরীর যাতে রোগের সঙ্গে পুরোপুরি লড়াই করতে পারে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

 

কোভিডের সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে চিকিৎসকেরা কিন্তু বার বার জোর দিয়েছেন প্রোটিনের উপর। সেই সঙ্গে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। এছাড়াও ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্যাকেটজাত খাবার, বেশি ক্রিম ও রং দেওয়া খাবার এসব এড়িয়ে চলুন। ফ্রিজে রাখা কোনও খাবার যদি তিন দিনের বেশি হয়ে যায় তাহলে তা কিন্তু একদমই খাবেন না। এছাড়াও অনেকক্ষণ ধরে কেটে রাখা ফল, অতিরিক্ত মিষ্টি রয়েছে এমন কোনও খাবারও কিন্তু এড়িয়ে চলাই ভাল। যা কিছু রাখবেন প্রতিদিনের ডায়েটে- 

 

ব্রাউন রাইস- 

ভাতের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। সেই সঙ্গে ভাত খাওয়ার সময় একটু বেশিই খাওয়া হয়ে যায়। আর তাই ভাতের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে পারবেন ততই ভাল। ব্রাউন রাইসে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। ফলে তা সহজেই হজম হয়ে যায়।

সবজি- 

প্রতিদিন বিভিন্ন রকম শাকসব্জি অবশ্যই রাখুন ডায়েটে। গাজর, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রোকোলি, ভুট্টার দানা, বেল পেপার এসব রঙিন সবজি বেশি করে খান। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

ফল- 

প্রতিদিন ফল খান। পেঁপে, পেয়ারা, শসা, আপেল, সফেদা, শাঁখালু এসব ফল রাখুন। আঙুর খেতে পারেন। তবে কোনও ফল খাওয়ার আগে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।

টকদই- 

প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন  টক দই। বাড়িতে পাতা টকদই হলে সবচেয়ে ভাল। টকদই দিয়ে রাইতা বানিয়েও খেতে পারেন।

ডিম- 

প্রতিদিন একটা করে ডিম সিদ্ধ খান। দেশি মুরগির ডিম খেতে পারলে ভাল। এছাড়াও চিকেন খান। বানিয়ে নিতে পারেন সবজি দিয়ে চিকেন স্ট্যুও।

সূএ:বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com