ভোটের দিন যতই এগিয়ে আসছে, ততই উত্তেজিত হচ্ছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের নির্বাচনী পরিস্থিতি। বিশেষ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর তিন ভাগ্নের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মেয়র কাদের মির্জার তিন প্রার্থীর ইউনিয়নগুলো প্রায়শই ঘটছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
এরই ধারাবাহিকতায় দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল থেকে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এসময় মিছিলকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে ওসিসহ সাত পুলিশ সদস্য ও উভয় পক্ষের আরও চারজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মেয়র মির্জার ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাশিক রয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামপুর ইউনিয়নের বামনি বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রোমন, এসআই মো. আবদুল আউয়াল সুমন, মো. আবদুল মোমেন, কনস্টেবল মো. আলমগীর হোসেন, মো. তানভীর আহাম্মেদ, উথোয়াই চিং রোয়াজা ও বিধান দেবনাথ। তাদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বসুরহাট একটি কুলখানি অনুষ্ঠানে আবদুল কাদের মির্জার হাতে শারীরিক লাঞ্ছিত হন রামপুর ইউপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা আনছার উল্যা। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বামনি বাজারে ঝাড়ু মিছিল বের করেন কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ প্রার্থী ভাগ্নে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থক ও স্থানীয়রা। পরে কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাসরুর কাদের তাশিকের নেতৃত্বে তাদের প্রার্থী ইকবাল বাহার চৌধুরী সমর্থকরা পাল্টা মিছিল বের করেন। মিছিলটি স্কুল গেইটে এলে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং হাতাহাতি শুরু হয়। এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সাত পুলিশসহ ১১জন আহত হয়।
জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিলকে কেন্দ্র করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এসময় মিছিলকারীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। পরে ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।