কেন খাবেন আপেল?

সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর হিসেবে শাকসবজি ও শস্যের যেমন অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে লাল রঙের আপেলের পুষ্টিগুণ সুপারফুডের থেকে কোনও অংশে কম নয়।

 

একটি মাঝারি সাইজের আপেলের মধ্যে কী কী পুষ্টিগুণ থাকে, তা জেনে নিন-

 

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম- :আপেল হল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল। যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। অন্যদিকে আপেলের পুষ্টিগুণ প্রথম থেকেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে, আপেল ও নাশপাতি খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ কম হতে পারে। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য হিসেবে ও বিভিন্ন পলিফেনলের জন্য এই আপেল অত্যন্ত উপকারী।

 

ওজন কমাতে সাহায্য করে-:প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ওজন বৃদ্ধি যেমন রোধ করে, তেমনি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। পানি ও ফাইবারের পুষ্ট এই ফল একটি করে খেলে ক্ষুধা মিটে যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরিও প্রবেশ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আপেলের রস ও পিউরির থেকে একটি গোটা আপেল প্রায় ৪ ঘণ্টা বেশি পেট ভর্তি থাকে।

 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে-:বয়সের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় সমস্যা। সঙ্গে উদ্বেগের কারণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে ও সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

 

ওবেসিটির বিরুদ্ধে লড়াই করে-:আপেলের সাহায্যে আপনি সফলভাবে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। কারণ এটি ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ফল। আপনি যদি ওজন বাড়ানোর জন্য উপায় খোঁজেন বা সময় থাকতে স্থূলতা থেকে বের হয়ে আসতে চান, তাহলে হাই-ফাইবার ও কম চিনিযুক্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

 

সুস্থ অন্ত্রের জন্য-:আপেল হলো পেকটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। যেটি প্রিবায়োটিক হিসেবে শরীরে কাজ করে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা খাওয়ায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য হজমের সমস্যা দূর করে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আন্দোলন কারো জন্যই কল্যাণ বয়ে আনবে না : রিজভী

» হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন নুরুল হক নুর

» দোহায় তৌহিদ হোসেন-ইসহাক দার বৈঠক

» বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি বাড়াতে প্রস্তুত ঢাকা

» যমুনা অভিমুখে প্রাথমিক শিক্ষকরা, পুলিশের জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

» জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহযোগিতা করা হবে: আসিফ মাহমুদ

» নবীর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করে জীবন গঠন হবে ….. জেলা প্রশাসক নরসিংদী 

» ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের উত্তরা ক্যাম্পাসে ইয়াং লার্নার ইংলিশ লার্নিং সেন্টার-এর নতুন শাখা চালু করল ব্রিটিশ কাউন্সিল

» ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর অধীনে ব্র্যাক ব্যাংকের দেশব্যাপী আর্থিক সাক্ষরতা প্রোগ্রাম আয়োজন

» নওগাঁয় ডিবি পুলিশের অভিযানে মাদক কারবারি স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাসহ আটক ৩

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কেন খাবেন আপেল?

সুষম খাদ্য ও স্বাস্থ্যকর হিসেবে শাকসবজি ও শস্যের যেমন অপরিহার্য ভূমিকা রয়েছে, তেমনি স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে লাল রঙের আপেলের পুষ্টিগুণ সুপারফুডের থেকে কোনও অংশে কম নয়।

 

একটি মাঝারি সাইজের আপেলের মধ্যে কী কী পুষ্টিগুণ থাকে, তা জেনে নিন-

 

ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম- :আপেল হল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল। যার ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি রোধ করে। অন্যদিকে আপেলের পুষ্টিগুণ প্রথম থেকেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বেশ কিছু গবেষণা থেকে জানা গেছে, আপেল ও নাশপাতি খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা ১৮ শতাংশ কম হতে পারে। প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য হিসেবে ও বিভিন্ন পলিফেনলের জন্য এই আপেল অত্যন্ত উপকারী।

 

ওজন কমাতে সাহায্য করে-:প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ওজন বৃদ্ধি যেমন রোধ করে, তেমনি অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও সাহায্য করে। পানি ও ফাইবারের পুষ্ট এই ফল একটি করে খেলে ক্ষুধা মিটে যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি শরীরে কম ক্যালোরিও প্রবেশ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, আপেলের রস ও পিউরির থেকে একটি গোটা আপেল প্রায় ৪ ঘণ্টা বেশি পেট ভর্তি থাকে।

 

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে-:বয়সের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ একটি বড় সমস্যা। সঙ্গে উদ্বেগের কারণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। হৃদরোগের ঝুঁকি এড়াতে ও সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন একটি করে আপেল খান।

 

ওবেসিটির বিরুদ্ধে লড়াই করে-:আপেলের সাহায্যে আপনি সফলভাবে স্থূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারেন। কারণ এটি ওজন কমানোর জন্য আদর্শ ফল। আপনি যদি ওজন বাড়ানোর জন্য উপায় খোঁজেন বা সময় থাকতে স্থূলতা থেকে বের হয়ে আসতে চান, তাহলে হাই-ফাইবার ও কম চিনিযুক্ত ফল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।

 

সুস্থ অন্ত্রের জন্য-:আপেল হলো পেকটিনের একটি সমৃদ্ধ উৎস। যেটি প্রিবায়োটিক হিসেবে শরীরে কাজ করে। অন্ত্রের মাইক্রোবায়োটা খাওয়ায় ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ভাল ব্যাকটেরিয়ার জন্য হজমের সমস্যা দূর করে।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com