টানা দেড় সপ্তাহের বৃষ্টি আর ভারতের আসাম রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা।
গত তিন দিন ধরে পাহাড়ি ঢলে উপজেলার জিঞ্জিরাম, কালোর নদী ও ধরণী নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২টি উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৫০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ৫৯২ হেক্টর ফসলী জমি।
এছাড়াও ৫৬ কিলোমিটার কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে গেছে। এবং উপজেলার ৩৭টি বিদ্যালয়ের পাঠদান সাময়িক বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ বানভাসীরা। দুর্ভোগ এলাকায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সঙ্কট। বন্যাকবলিতদের মাঝে সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রৌমারী উপজেলার যাদুরচর, রৌমারী সদর, শৌলমারী, দাঁতভাঙ্গা, বন্দবেড়সহ রাজিবপুর উপজেলার রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।