কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল: লরিসের চোখে এ যেন ‘বক্সিং ম্যাচ’

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি হয়তো ফ্রান্স গোলকিপার উগো লরিসের জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় দেশের বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। লরিসের সামনে ছিল টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। 

 

কিন্তু রোমাঞ্চকর ও শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচটি দুলছিল পেন্ডুলামের মতোই, কখনো আর্জেন্টিনার দিকে, কখনো বা ফ্রান্সের দিকে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত থাকে। ১২০ মিনিটের প্রাণপাত লড়াইয়ের পরও ফল আসেনি, তাই টাইব্রেকারেই নিষ্পত্তি হয় ফাইনালের। তাতে বাজিমাত আর্জেন্টিনার। নির্দিষ্ট করে বললে আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ ব্যবধানে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।

 

এই বিশ্বকাপ ফাইনাল অনেক ক্ষেত্রেই লরিসের জন্য ‘যন্ত্রণাময়’। টেলেফুট চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের সাবেক গোলকিপার সেই যন্ত্রণার কিছু অংশ ভাগ করে নিয়েছেন সবার সঙ্গে, ‘খেলাটা আক্ষরিক অর্থেই ছিল বক্সিং ম্যাচের মতো। আমরা ম্যাচে বক্সিং ম্যাচের মতো লড়েছি।’

 

টাইব্রেকারে একটি শটও ঠেকাতে না পারার বিষয়ে লরিস বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনোই পেনাল্টি ঠেকানোর ব্যাপারে খুব সফল ছিলাম না। দুর্ভাগ্যক্রমে ফাইনালের রাতে সাফল্যটা আর্জেন্টিনার দিকেই ঝুঁকেছে। আমি চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এর চেয়ে বেশি আর কীই-বা করতে পারতাম আমি!

 

৯ জানুয়ারি লে’কিপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের কথা জানান লরিস। সেই সাক্ষাৎকারেই তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ফাইনালে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজের মতো প্রতিপক্ষের ওপর মনস্তাত্ত্বিক কিছু করার সুযোগ লরিসের ছিল কি না।

 

ফ্রান্স গোলকিপার সরাসরিই জানিয়ে দেন, ‘নিজেকে হাস্যকর বানানো, প্রতিপক্ষকে উত্ত্যক্ত করা, সীমালঙ্ঘন…এগুলো আমার সঙ্গে যায় না। আমি খুবই বিবেচক ও সৎ মানুষ। আমি জানি না ওসব করে কীভাবে জেতা যায়। যদিও এভাবে হারতেও আমার ভালো লাগেনি।’  সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ দুর্গাপূজা এক মণ্ডপে ২০০-র বেশি প্রতিমা-বিগ্রহ! লাখো ভক্তের সমাগমের প্রস্তুতি

» সিটি ব্যাংক ও গার্ডিয়ানের অংশীদারিত্বে প্রথমবারের মত ব্যাংকিং অ্যাপ থেকে ইন্স্যুরেন্স পলিসি কিনতে পারবেন গ্রাহকেরা

» ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ডিজিটাল বীমা পলিসি ডক্যুমেন্ট প্রদানের সেবা চালু করল মেটলাইফ বাংলাদেশ

» নওগাঁয় মহিলাসহ ৪ ভুয়া পুলিশ আটক

» প্রাইম ব্যাংক ও প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স-এর মধ্যে পেরোল ব্যাংকিং চুক্তি স্বাক্ষর

» ইসির ২ আইন সংস্কার প্রস্তাবের অনুমোদন

» কল্কির সিক্যুয়েল থেকেও বাদ পড়লেন দীপিকা

» সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘রেড নোটিশ’ জারির আবেদন

» বাংলাদেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করেছে: টুকু

» বায়তুল মোকাররম এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ শুরু

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

কাতার বিশ্বকাপ ফাইনাল: লরিসের চোখে এ যেন ‘বক্সিং ম্যাচ’

কাতার বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি হয়তো ফ্রান্স গোলকিপার উগো লরিসের জীবনের সবচেয়ে বড় আক্ষেপ। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় দেশের বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। লরিসের সামনে ছিল টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। 

 

কিন্তু রোমাঞ্চকর ও শ্বাসরুদ্ধকর সেই ম্যাচটি দুলছিল পেন্ডুলামের মতোই, কখনো আর্জেন্টিনার দিকে, কখনো বা ফ্রান্সের দিকে। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচটি ৩-৩ গোলে অমীমাংসিত থাকে। ১২০ মিনিটের প্রাণপাত লড়াইয়ের পরও ফল আসেনি, তাই টাইব্রেকারেই নিষ্পত্তি হয় ফাইনালের। তাতে বাজিমাত আর্জেন্টিনার। নির্দিষ্ট করে বললে আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের। পেনাল্টি শুট আউটে ৪-২ ব্যবধানে ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা।

 

এই বিশ্বকাপ ফাইনাল অনেক ক্ষেত্রেই লরিসের জন্য ‘যন্ত্রণাময়’। টেলেফুট চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের সাবেক গোলকিপার সেই যন্ত্রণার কিছু অংশ ভাগ করে নিয়েছেন সবার সঙ্গে, ‘খেলাটা আক্ষরিক অর্থেই ছিল বক্সিং ম্যাচের মতো। আমরা ম্যাচে বক্সিং ম্যাচের মতো লড়েছি।’

 

টাইব্রেকারে একটি শটও ঠেকাতে না পারার বিষয়ে লরিস বলেন, ‘আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনোই পেনাল্টি ঠেকানোর ব্যাপারে খুব সফল ছিলাম না। দুর্ভাগ্যক্রমে ফাইনালের রাতে সাফল্যটা আর্জেন্টিনার দিকেই ঝুঁকেছে। আমি চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এর চেয়ে বেশি আর কীই-বা করতে পারতাম আমি!

 

৯ জানুয়ারি লে’কিপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে বিদায়ের কথা জানান লরিস। সেই সাক্ষাৎকারেই তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ফাইনালে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজের মতো প্রতিপক্ষের ওপর মনস্তাত্ত্বিক কিছু করার সুযোগ লরিসের ছিল কি না।

 

ফ্রান্স গোলকিপার সরাসরিই জানিয়ে দেন, ‘নিজেকে হাস্যকর বানানো, প্রতিপক্ষকে উত্ত্যক্ত করা, সীমালঙ্ঘন…এগুলো আমার সঙ্গে যায় না। আমি খুবই বিবেচক ও সৎ মানুষ। আমি জানি না ওসব করে কীভাবে জেতা যায়। যদিও এভাবে হারতেও আমার ভালো লাগেনি।’  সূএ: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com