পূর্ব বিরোধ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কাজল হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
আজ (১৬ মার্চ) ভোর পাঁচটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
গতকার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সর্দারপাড়া মোড়ে নিজ বাড়ির পাশে পিঠে ও ঘাড়ে কাজলকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। চিৎকার শুনে স্বজনরা দ্রুত উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কাজল দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের ১০নং ওয়ার্ডের মেম্বর এবং ওই ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামের মো. সুন্নতের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আরিফা খাতুন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন কাজল মেম্বর। ভোর পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের প্রতিবেশী মহব্বত হোসেন জানান, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে সর্দারপাড়ার লোকজনের সঙ্গে কাজলের বিরোধ ছিল। এর প্রেক্ষিতে তারা হামলা করেছে বলে ধারণা তার।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে দৌলতপুরে থানার ওসি মজিবর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন আগে থেকে এলাকার প্রতিবেশিদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল কাজলের। এরই জেরে কয়েকদিন আগে বিয়েবাড়িতে গান শোনা নিয়ে কাজল মেম্বারের ভাতিজার সঙ্গে তাদের প্রতিবেশি মাবুদের লোকজনের হাতাহাতি হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য মাবুদের বাড়িতে যায় কাজল। এসময় মাবুদের সঙ্গে কথা বলার এক পর্যায়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কাজলের ঘাড়ে এবং পিঠে কুপিয়ে পালিয়ে যায় মাবুদ।
ওসি আরও বলেন, নিহত কাজলের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে এবিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করে পুলিশ।