এবার ধ্বংসস্তূপ থেকে ৫ দিন পর বেঁচে ফিরলেন কিশোর

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্য তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে।

 

কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম ভূমিকম্পের ১১৯ ঘণ্টা পর তুরস্কের কাহরামানমারাশ শহরের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে কামিল কান নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তুরস্ক শাখা সিএনএন তুর্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত প্রায় ৫ দিন ধরে ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা থাকার কারণে খাদ্য ও পানির অভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কামিল, তবে সৌভাগ্যবশত শারীরিক কোনো আঘাত সে পায়নি।

 

ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কামিলকে উদ্ধারের ঘটনাটি লাইভ দেখানো হয়েছে সিএনএন তুর্ক চ্যানেলে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে কামিলের কণ্ঠস্বর শোনার পর তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন তারা।

 

শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও উদ্ধারের পর হাসিমুখে দেখা গেছে কামিলকে। তার পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৫ দিন পর কামিলকে জীবিত অবস্থায় দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।

 

৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

 

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশেরই মূল শহরের নাম কাহরামানমারশ। এই শহরেরই বাসিন্দা কামিল কান ও তার পরিবার।

 

ভূমিকম্পের পর ৫ দিন, কিংবা ঘণ্টার হিসেবে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। প্রবল ঠান্ডা, খাদ্য-পানির অভাবে ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষের জীবিত থাকার আশাও শেষ হয়ে আসছে।

 

কিন্তু তারপরও, এখনো তুরস্কের বিভিন্ন শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অনেককে। শুক্রবার সকালের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইসকেনদেরুনের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক পরিবারের ৬ জন সদস্য এবং ভূমিকম্পের এপিসেন্টার কাহরামানমারাশ থেকে সহোদর ২ কিশোরীকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» স্বামী হাতে স্ত্রী খুন

» ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে বড় ভাইকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

» হত্যা মামলায় মুক্তি পেয়ে অস্ত্র কারবার, অবশেষে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার

» রোববার আংশিক সূর্যগ্রহণ, বাংলাদেশ থেকে দেখা যাবে না: আইএসপিআর

» বেঁচে থাকলে ৫৪ বছরে পা রাখতেন সালমান শাহ

» চালের দাম কমেছে, স্বস্তি ফেরেনি সবজি-পেঁয়াজে

» চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেন করার দাবিতে অবরোধ

» পিআর পদ্ধতি নয়, আগের নিয়মেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে: ইলিয়াস হোসাইন

» সাংগঠনিকভাবে যতটা শক্তিশালী হওয়ার কথা ছিল, তা অর্জন করতে পারিনি: নাহিদ ইসলাম

» ১৩ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে গ্রামীণফোনের রিচার্জ সেবা

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এবার ধ্বংসস্তূপ থেকে ৫ দিন পর বেঁচে ফিরলেন কিশোর

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্য তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে।

 

কয়েক দশকের মধ্যে ভয়াবহতম ভূমিকম্পের ১১৯ ঘণ্টা পর তুরস্কের কাহরামানমারাশ শহরের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে কামিল কান নামের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে উদ্ধার করা হয়েছে।

 

উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তুরস্ক শাখা সিএনএন তুর্কের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত প্রায় ৫ দিন ধরে ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা থাকার কারণে খাদ্য ও পানির অভাবে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে কামিল, তবে সৌভাগ্যবশত শারীরিক কোনো আঘাত সে পায়নি।

 

ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে কামিলকে উদ্ধারের ঘটনাটি লাইভ দেখানো হয়েছে সিএনএন তুর্ক চ্যানেলে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে কামিলের কণ্ঠস্বর শোনার পর তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন তারা।

 

শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও উদ্ধারের পর হাসিমুখে দেখা গেছে কামিলকে। তার পরিবারের সদস্যরাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ৫ দিন পর কামিলকে জীবিত অবস্থায় দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন তারা।

 

৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও তার প্রতিবেশী দেশ সিরিয়া। ওই ভূমিকম্পের ১৫ মিনিট পর ৬ দশমিক ৭ মাত্রার আরও একটি বড় ভূমিকম্প এবং পরে অনেকগুলো আফটারশক হয়।

 

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে বলা হয়, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল।

 

তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় কাহরামানমারাশ প্রদেশেরই মূল শহরের নাম কাহরামানমারশ। এই শহরেরই বাসিন্দা কামিল কান ও তার পরিবার।

 

ভূমিকম্পের পর ৫ দিন, কিংবা ঘণ্টার হিসেবে ১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। প্রবল ঠান্ডা, খাদ্য-পানির অভাবে ধ্বংসাবশেষে আটকা পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষের জীবিত থাকার আশাও শেষ হয়ে আসছে।

 

কিন্তু তারপরও, এখনো তুরস্কের বিভিন্ন শহরে ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হচ্ছে অনেককে। শুক্রবার সকালের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ইসকেনদেরুনের একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে এক পরিবারের ৬ জন সদস্য এবং ভূমিকম্পের এপিসেন্টার কাহরামানমারাশ থেকে সহোদর ২ কিশোরীকে উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com