এখন যারা এমপি, তারা এর যোগ্য নয়: কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘এখন যারা এমপি হয়েছেন- তারা এমপি হওয়ার যোগ্য নয়। আমার লেজ ধরার চেষ্টা কইরেন না। আমি কারোর লেজ ধরি না। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়াতে দেশের কি, কার কি ক্ষতি হয়েছে, পরিবারের কি ক্ষতি হয়েছে- তা জানি না। তবে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকব।

 

আজ বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদতলে কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদানের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা একটাই। সেটা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি হোক- সবারই হবে জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধু বললেন- ‘জয় বাংলা আছে, জয় বাংলা থাকবে।’ বঙ্গবন্ধু ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে এসে অস্ত্র জমা নিয়েছিলেন। অস্ত্র জমা দিলাম বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে, অথচ এখানে কোন চিহ্ন নেই। টাঙ্গাইলের ডাকবাংলাতে বঙ্গবন্ধু প্রথম এসেছিলেন। গত ১৩-১৪ বছরে বাংলাদেশে অনেক লুটপাট হয়েছে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে টাঙ্গাইলে কোনো মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র হয়নি। এছাড়াও নেই আমাদের অস্ত্র জমা দেয়ারও স্মৃতি চিহ্ন।

 

সেই স্মৃতি ধরে রাখতে স্মৃতিস্তম্ভ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হকের প্রতি দাবি করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইলের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল রহমান খান ফারুক ভাই যুদ্ধের সময় কোনো দিন বন্দুক ধরে দেখে নাই। তাকে এইভাবে (একুশে পদক ) পদক দেয়া ঠিক হয়নি। ঢাকা থেকে নেতারা আসতে পারেন, কিন্তু টাঙ্গাইলের নেতারা অনুষ্ঠানে আসতে পারেন না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসকে এ অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

 

কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদান উদযাপন কমিটি সভাপতি এএম এনায়েত করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন, কবি বুলবুল খান মাহবুব, কবি আল মুজাহিদী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মীনি নাসরিন কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» বিএনপি নেতাদের সতর্ক থাকার আহ্বান রিজভীর

» বাংলাদেশ ভ্রমণে কানাডার সতর্কতা জারি

» জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে: মতিউর রহমান আকন্দ

» বদরুদ্দীন উমর ছিলেন বহু রাজনীতিবীদের শিক্ষক: মির্জা ফখরুল

» বিএনপি সেই গণতন্ত্রের কথা বলে, যে গণতন্ত্রে মানুষ ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে  : ড. মঈন খান

» সুন্দরবনের উপকূলের বাগেরহাটে শাপলা বিক্রি করেই চলছে দিনমজুর হানিফের সংসার, সরকারী সহায়তা বঞ্চিত!

» লালমনিরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে প্রস্তুত ৪ শত ৬৮ টি পূজা মন্ডব

» আগৈলঝাড়ার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ ললিতা সরকার শিক্ষা ও নৃত্যকলায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত

» ঢাকা থেকে জামালপুরের আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

» গানের শিক্ষক নিয়োগ বাতিল না করলে সরকারকে বাধ্য করার হুমকি ওলামা পরিষদের

  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

এখন যারা এমপি, তারা এর যোগ্য নয়: কাদের সিদ্দিকী

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম বলেছেন, ‘এখন যারা এমপি হয়েছেন- তারা এমপি হওয়ার যোগ্য নয়। আমার লেজ ধরার চেষ্টা কইরেন না। আমি কারোর লেজ ধরি না। বঙ্গবন্ধু মারা যাওয়াতে দেশের কি, কার কি ক্ষতি হয়েছে, পরিবারের কি ক্ষতি হয়েছে- তা জানি না। তবে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। আমি যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে বেঁচে থাকব।

 

আজ বিকালে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদতলে কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদানের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

 

তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা একটাই। সেটা বিএনপি ও জাতীয় পার্টি হোক- সবারই হবে জয় বাংলা। বঙ্গবন্ধু বললেন- ‘জয় বাংলা আছে, জয় বাংলা থাকবে।’ বঙ্গবন্ধু ২৪ জানুয়ারি টাঙ্গাইলে এসে অস্ত্র জমা নিয়েছিলেন। অস্ত্র জমা দিলাম বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে, অথচ এখানে কোন চিহ্ন নেই। টাঙ্গাইলের ডাকবাংলাতে বঙ্গবন্ধু প্রথম এসেছিলেন। গত ১৩-১৪ বছরে বাংলাদেশে অনেক লুটপাট হয়েছে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে টাঙ্গাইলে কোনো মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র হয়নি। এছাড়াও নেই আমাদের অস্ত্র জমা দেয়ারও স্মৃতি চিহ্ন।

 

সেই স্মৃতি ধরে রাখতে স্মৃতিস্তম্ভ করার জন্য মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজ্জামেল হকের প্রতি দাবি করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি আরও বলেন, ‘টাঙ্গাইলের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল রহমান খান ফারুক ভাই যুদ্ধের সময় কোনো দিন বন্দুক ধরে দেখে নাই। তাকে এইভাবে (একুশে পদক ) পদক দেয়া ঠিক হয়নি। ঢাকা থেকে নেতারা আসতে পারেন, কিন্তু টাঙ্গাইলের নেতারা অনুষ্ঠানে আসতে পারেন না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসকে এ অনুষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

 

কাদেরিয়া বাহিনীর অস্ত্র জমাদান উদযাপন কমিটি সভাপতি এএম এনায়েত করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হক মোহন, কবি বুলবুল খান মাহবুব, কবি আল মুজাহিদী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সহধর্মীনি নাসরিন কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

Design & Developed BY ThemesBazar.Com