বাবা-মায়ের আশির্বাদ,খা বেটা দুধ-ভাত ।” এই প্রবাদ বাক্যটির প্রতিফলন ঘটেছে নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনিবাড়ী গ্রামের চওড়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রদর্শক অরবিন্দু চন্দ্র রায়ের পরিবারে। ছেলে অর্নবকে দাদুর দেয়া সস্প্রদানের একটি গাভী একসাথে দুটি বাচ্চি বাছুর জন্ম দেয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে তাদের পরিবারে। গত রবিবার(৬ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১১টায় সাদা রংয়ের দু’টি বাচ্চি বাছুর প্রসব করে ওই গাভীটি।
নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরনিবাড়ী গ্রামের চওড়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রদর্শক অরবিন্দু চন্দ্র রায়ের ছেলে অর্নব। দাদু ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় অর্নবকে গত কয়েক বছর আগে একটি গরু দান করেন। দাদুর আশির্বাদের দেয়া গাভীটি অর্নবের পরিবার পরম যত্নে লালন পালন করে আসতেছিল। গত কয়েক বছর একটি করে বাছুর জন্ম দিলেও এবার জন্ম দিয়েছে দুটি বাছুর।
অর্নবের বাবা অরবিন্দু চন্দ্র রায় জানান, আমার বাবা আমার ছেলেকে আশীর্বাদ করে একটি গরু দান করছেন । সেই গরুটি এবারে একসাথে দুটি বাচ্চি বাছুর জন্ম দিয়েছে। এটা আমার বাবার আশীর্বাদ।ঈশ্বরের কৃপায় গাভি এবং বাছুর দু’টি ভালো আছে । তাই আমাদের পরিবারে সকলের মনে আনন্দের জোয়ার বইছে । এই আনন্দ যাতে আজীবন টিকে থাকে সেজন্য সকলের নিকট আশির্বাদ প্রার্থনা করছি।
তিনি আরো জানান, গাভী ও বাছুর এখন সম্পুন্ন সুস্থ্য আছে।বাছুর ও গাভীটিকে দেখতে বিপুল সংখ্যক উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভীড় করছে। অর্নবের দেশী জাতের গাভীটি দুটি বাছুর জন্ম দেয়ায় গ্রামবাসীর মাঝে মিষ্ঠিও বিতরণ করেছে।