নতুন ইসি গঠন আইনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি-না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, ‘নতুন করা আইনটিতে পুরাতন পদ্ধতিকে বহল রেখে আইনসম্মত করা হয়েছে।’
শনিবার দুপুরে দলের বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, ‘আমরা প্রস্তাব করেছিলাম আগামীতে যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে তার জন্য উপরোক্ত সংবিধানের বিধান অনুসারে একটি আইন করা দরকার। আইনের উদ্দেশ্য হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিশন গঠন ও সে অনুযায়ী যোগ্য ও মোটামুটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের বাছাই করার মাপকাঠি ও পন্থা সুনির্দিষ্ট করা।’
বর্তমান আইনে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতার বিষয়ে কোনো উল্লেখ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব ছিল সে কারণে এ বিষয়েও একটি আইন থাকা প্রয়োজন। যে আইনে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনী কাজে কোনো কর্মচারী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনাবলী পালন না করিলে নির্বাচন কমিশন নিজেই যেন প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে এইরকম একটি আইন করা দরকার।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘যথোপযুক্ত নির্বাচন কমিশন গঠন করলেই তা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে না; যতক্ষন পর্যন্ত না সে নির্বাচন কমিশনকে কর্তব্য সম্পাদনের সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব ও সহযোগিতা দেওয়া হয়। বর্তমান যে আইনটি পাশ হয়েছে তাতে শুধুমাত্র নির্বাচন কমিশন গঠন বিষটি বিবেচনা করা হয়েছে, তাদের যথাযথ ক্ষমতার বিষয়টি বিদ্যমান আইনের আওতায় আনা হয়নি।