ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির হয়ে প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে যে মামলা হয়েছে, তাতে তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়ার সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। তাই তাদের অব্যাহতি প্রদানে সুপারিশ করা হয়েছে।বুধবার (২ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে ধানমণ্ডি থানা পুলিশ।
তবে প্রতিবেদনে ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, ইভ্যালির প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এক গ্রাহকের করা মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণে তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়াসহ পাঁচজনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি- এমন প্রতিবেদন দিয়ে আদালতে তাদের অব্যাহতির আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক ৪ ডিসেম্বর গায়ক অভিনেতা তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। মামলায় ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকেও আসামি করা হয়।
এ মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে তার কাছ থেকে তিন লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তখন ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত তাহসান, মিথিলা ও ফারিয়ার উপস্থিতি ও তাদের ‘প্রমোশনাল’ কথাবার্তায় প্রলুব্ধ হয়ে তিনি পণ্যের অর্ডার করেছিলেন। কিন্তু সে পণ্য এখনো পাননি, অর্থও ফেরত পাননি।