পথে ঘাটে মাঠে বাজারে অফিসে বডি শেমিংয়ের মুখোমুখি হননি, এমন নারী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সাধারণ নারী থেকে সেলিব্রিটি, সবাই প্রতিনিয়ত এই সমস্যার মুখে পড়ছেন। বাদ যাননি ওপার বাংলার হট অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জীও।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই কথাই তুলে ধরলেন এই নায়িকা। পরিষ্কারভাবে এও জানিয়ে দিলেন, ‘আমার স্তন কিংবা শরীরের যেকোনো অঙ্গ যেভাবে খুশি মেলে ধরব। এ নিয়ে কারও কোনো অসুবিধা হলে, দায় আমার নয়। কোন পোশাক পরব, তা আমিই ঠিক করব।
স্বস্তিকা বলেন, ‘কোনো পাবলিক ফিগার সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু পোস্ট করলে সেটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। অনেক বেশি আঙুল ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আমি নানা কিছু পোস্ট করি। সেটা কোনো ছবি বা কোনো ভিডিও হতে পারে। আমার মনে হয়, আমি সাহস করে কিছু পোস্ট করলে বা কোনো বক্তব্য রাখলে সেটা সাধারণ কোনো নারীকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।
অভিনেত্রী জানান, ‘একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম। সেখানে আমার স্তন নিয়ে নানা আলোচনা ও কুমন্তব্য উঠে এসেছিল। আমি বলেছিলাম, পেশায় যখন আমি একজন অভিনেত্রী, কিংবা গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের ব্যক্তি, তখন সেখানে চরিত্রের প্রয়োজনে দর্শকদের জন্য স্তনকে বা চেহারাকে যেভাবে তুলে ধরা দরকার, সেটা আমি করব।
স্বস্তিকা বলেন, ‘সেখানে আমি বডি সিমার লাগাতে পারি, প্যাডেড কিংবা পুশআপ ব্রা পরতে পারি। তবে আমার কাজ যেখানে শেষ হচ্ছে, ব্যক্তিগত জীবনে আমি ব্রা না পরে বা পরে যেভাবে খুশি ছবি পোস্ট করতে পারি। আমার চেহারার কোনো অঙ্গ হয়ত কারও অপছন্দ হতে পারে। আমার ব্যক্তিগত কিছু নিয়ে কারও অসুবিধা হলে তার দায় আমার নয়।
খুব শিগগির ‘শ্রীমতী’ নামে একটি সিনেমায় দেখা যাবে স্বস্তিকাকে। একজন গৃহবধূকে কীভাবে বডি শেমিংয়ের মুখোমুখি হতে হয়, তাই দেখানো হবে সিনেমায়। সেক্ষেত্রে স্বস্তিকার মত, ‘শরীর নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার বিষয়টি শুধু গৃহবধূরা নয়, বহু চাকুরীজীবী নারীদের মধ্যেও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শরীর নিয়ে, গায়ের রং নিয়ে কাজের জায়গা, রাস্তাঘাটসহ বহু জায়গাতেই নারীদের নানা কথার সম্মুখীন হতে হয়। তা নিয়ে বহু নারী নিজের মনের সঙ্গে নিজেই লড়াই করেন। আমার মনে হয়, বাইরের কারও কথা না শুনে আমি মানুষটা যেভাবে খুশি থাকব, সবার সেভাবেই চলা উচিত। সূএ: ঢাকাটাইমস ডটকম