প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চলমান করোনাভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত গোটা বিশ্বকেই একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে। সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়েছে। খাদ্য শস্যের উৎপাদন এবং পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে পরিবহন ভাড়া। ফলে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি অর্থনীতির চাকা সচল রেখে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখতে। এই সময়ে আমাদের সাশ্রয়ী হতে হবে। অপচয় বন্ধ করতে হবে।
আজ বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান বন্যা, বন্যার্তদের সহায়তার কার্যক্রম নিয়েও কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একশ/সোয়াশ বছরের মধ্যে এমন প্রলয়ঙ্কারী বন্যা হয়নি। এবারের বন্যা স্মরণকালের মধ্যে ভয়াবহতম। গ্রাম, নগর, শহর, সড়ক-মহাসড়ক প্লাবিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বন্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি। বন্যার্তদের সহায়তায় প্রশাসনসহ সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নদীমাতৃক দেশ আমরা। বন্যার সঙ্গেই আমাদের বসবাস করতে হবে। এ জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো আমাদের তৈরি করতে হবে।’