আমাদের দুর্ভাগ্য, দু-একজন ছাড়া কাউকে স্মরণ করি না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, দলে যাদের অবদান রয়েছে, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য তাদের বেশির ভাগকেই আজ আমরা দল, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্মরণ করি না, দুই একজন ছাড়া। এখন তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে একজনকেই মনে করা হয়।

 

রোববার  জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের মধ্যে বসবাস করছে। মানুষের অধিকারটুকু সম্পন্ন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে। ভিন্নমত পোষণকারীদের দমন করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভিন্ন মোড়কে গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে তারা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

 

‘নির্বাচনের কথা বলে যাচ্ছে তারা, নির্বাচনও করে, সে নির্বাচনকে বলা হচ্ছে এখন ক্ষমতায় থাকার নির্বাচন, তারা নির্বাচন করবে আবার দেখা যাবে জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন, আর পার পেয়ে যাবে।

 

সামনে কঠিন সময় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। মিথ্যা মামলার সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না।

 

তিনি বলেন, দেশে দমবন্ধ করা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। আমরা কথা বলতে পারি না নিশ্বাস নিতে পারি না। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করছি, লড়াই-সংগ্রাম করছি। প্রায় ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি। লড়াই তখনই সফল হবে যখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষকে জাগিয়ে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে পরাজিত করতে পারবো।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাটের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রধান বক্তা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, অন্যদের মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, শ্যামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল হলে সব পক্ষ উপকৃত হবে: তথ্যমন্ত্রী

» এবার ম্যারাডোনা, পেলের পাশে বসলেন মেসি

» নির্বাচনে সাংবাদিক-পর্যবেক্ষকদের বাধা দিলে ৭ বছর পর্যন্ত জেল

» আগামীকাল থেকে থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন

» ‘গ্র্যান্ড ইফতার টেকঅ্যাওয়ে ফেস্ট’ শুরু করেছে ফুডপ্যান্ডা

» ২ এপ্রিল বাজারে আসছে ৬৪ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার রিয়েলমি সি৫৫

» বিএনপির আন্দোলন আগেও বিফলে গেছে, আবারও বিফলে যাবে : হানিফ

» ব্রয়লার মুরগির কেজি নামলো ২০০ টাকায়

» ছোট্ট এই ছিদ্র না থাকলে স্মার্টফোনই অচল, এর কাজ কি জানেন?

» বলিউড ছাড়ার আসল কারণ জানালেন প্রিয়াংকা

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আমাদের দুর্ভাগ্য, দু-একজন ছাড়া কাউকে স্মরণ করি না: মির্জা ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, দলে যাদের অবদান রয়েছে, দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য তাদের বেশির ভাগকেই আজ আমরা দল, সমাজ কিংবা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে স্মরণ করি না, দুই একজন ছাড়া। এখন তো বাংলাদেশের স্বাধীনতার ব্যাপারে একজনকেই মনে করা হয়।

 

রোববার  জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটা ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের মধ্যে বসবাস করছে। মানুষের অধিকারটুকু সম্পন্ন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন আইন তৈরি করা হচ্ছে। ভিন্নমত পোষণকারীদের দমন করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে একটা একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভিন্ন মোড়কে গণতন্ত্রের লেবাস লাগিয়ে তারা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

 

‘নির্বাচনের কথা বলে যাচ্ছে তারা, নির্বাচনও করে, সে নির্বাচনকে বলা হচ্ছে এখন ক্ষমতায় থাকার নির্বাচন, তারা নির্বাচন করবে আবার দেখা যাবে জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন, আর পার পেয়ে যাবে।

 

সামনে কঠিন সময় উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তিনি অসুস্থ কিন্তু তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। মিথ্যা মামলার সাজা দিয়ে তারেক রহমানকে দেশে আসতে দিচ্ছে না।

 

তিনি বলেন, দেশে দমবন্ধ করা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান। আমরা কথা বলতে পারি না নিশ্বাস নিতে পারি না। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা কাজ করছি, লড়াই-সংগ্রাম করছি। প্রায় ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছি। লড়াই তখনই সফল হবে যখন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষকে জাগিয়ে একটি গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে পরাজিত করতে পারবো।

আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাটের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, প্রধান বক্তা ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, অন্যদের মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম, সাইফুল আলম নিরব, শ্যামা ওবায়েদ, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Design & Developed BY ThemesBazar.Com