রমজানে দ্রব্যমূল্যে বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা কথায় কথায় আল্লাহ-খোদার কথা বলি, কাজের সময় করি উল্টোটা। তখন মানুষের ভোগান্তি হয়। সারা পৃথিবী জুড়ে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় ডিসকাউন্ট চলে। ক্রিসমাসের সময় ৩০-৩৩ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দিয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে উল্টোটা, ঈদ আসলেই দাম বাড়ে।
বুধবার সকালে সচিবালয়ের সভাকক্ষে ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতও তেল আমদানি করে। সেখানে দাম কতো, তাদের আজকের মার্কেটে ১৭০ বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি। এমন কিছু করতে পারি না যাতে জনগণ ভোগান্তিতে পড়ে।
তিনি জানান, আগামী ১৫ দিনে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না। ৬ ফেব্রুয়ারির পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, তেলের দাম বাড়বে না কমবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা বার বার বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। যে ক্যালকুলেশনে এটা ফিক্সআপ করি সেখানে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আমার অসুস্থতার জন্য তারা অপেক্ষা করেছে। আজকের আলোচনায় তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আমরা বলেছি, এখন যে দাম আছে তার থেকে কিছুটা হলেও কমাতে চেষ্টা করুন। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করবো। এ জন্য আন্তর্জাতিক মার্কেট, ডিউটি স্ট্রাকচার সব দেখে ১৫ দিন পর বসে সিদ্ধান্ত নেবো। সামনে রমজান, রোজার ঈদও আছে। সে জন্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করেছি তারা স্বাভাবিকভাবে এলসি ওপেন করবে। এরপর বসে একটা সিদ্ধান্ত নেবো।
টিসিবির অপারেশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টিসিবির অপারেশন রমজান মাসে ৪শ’ ট্রাক করি, এবার ৭শ’ থেকে ৮শ’ করছি। বিশ্ববাজারে তেলের দামটা একই রকম আছে। বিভিন্ন ফ্যাক্টর আছে, এই ১৫ দিনে যদি দেখি দাম ৫০ ডলার কমেছে সেভাবেই আমরা সিদ্ধান্ত নেবো।,