পটুয়াখালীর বাউফলে একাধিক ডাকাতির মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্য এবং ডাকাতির মালামাল ক্রয়ের অভিযোগে ২ স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে তাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহমাদ মাঈনুল হাসান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ৩০ জুন গভীর রাতে বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর ইউনিয়নে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রুহুল আমিন সিকদারের বাড়ির গ্রিল কেটে ৮-১০ জনের ডাকাত দল বাড়ির সদস্যদের দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ আড়াই লাখ টাকা, ১৪ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও মোবাইল সেটসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৩ জুলাই রুহুল আমিন সিকদার বাদী হয়ে বাউফল থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি আরও বলেন, গতকাল ৪ জুলাই দুপুরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বরিশালের মরকখোলা এলাকা থেকে ডাকাত দলের সদস্য মো. রিয়াজ হাওলাদার ও অরুন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাতে বাউফলে নিজ নিজ বাড়ি থেকে ডাকাত দলের অন্য দুই সদস্য মো. ইসমাইল গাজী ও হেমায়েত সিকদার ওরফে মিলনকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্যমতে ডাকাতির মালামাল ক্রয় করায় গৌরব জুয়েলার্সের মালিক গৌতম কর্মকার ও মানিক কর্মকারকে গ্রেফতার ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতার ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়ছে।
গ্রেফতার ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।