আজ বিশ্ব বেতার দিবস

রেডিও বা বেতার সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও জনপ্রিয় গণমাধ্যম। বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর শক্তি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালেও বেতারের ভূমিকা ছিলো অবিস্মরণীয়।

 

আজ বিশ্ব বেতার দিবস।  বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিও অংশগ্রহণ করছে।

 

এ বছর বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘সবাই মিলে বেতার শুনি, বেতারেই আস্থা রাখি।

 

বাংলাদেশ বেতারের জন্মকালের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে এক ঐতিহাসিক মিল। বাংলাদেশে বেতারের যাত্রা শুরু ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এর ঠিক ৩২ বছর পর এ দিনটিতেই চূড়ান্ত বিজয় লাভের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় বাংলাদেশ।

 

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট নামে খ্যাত ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের এক বলিষ্ঠ প্রচার কান্ডারি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কালজয়ী গান ও অনুষ্ঠানগুলো একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলকে শক্তিশালী করেছে, অন্যদিকে দেশের জনগণকে স্বাধীনতার দিকে অনুপ্রাণিত করে।

 

বিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। তবে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সব ধরণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু মিডিয়া বৈচিত্র্যের অন্যতম অনুসঙ্গ। স্বাধীন গণমাধ্যম দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মুক্তির আলোকবর্তিকা।

 

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, দুর্যোগের এই সময়ে সঠিক বার্তা, দিকনির্দেশনা, সর্বোপরি করোনা মোকাবিলায় সরকার গৃহীত নানা উদ্যোগ এবং এই মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে এসেছে বেতার, অর্জন করেছে আস্থার জায়গা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» দুই দফা দাম কমানোর পর ফের বাড়লো সোনার দাম

» রমজানে যানজট কমাতে পুলিশের ১৫ নির্দেশনা

» রমজানে দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার অনুরোধ রাষ্ট্রপতির

» দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, কাল থেকে রোজা

» গুড়ার নন্দীগ্রামে হাইওয়ে পুলিশের পথসভা অনুষ্ঠিত 

» বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে প্রথমবারের মতো ইন্ডাস্ট্রিয়াল লেকচার সপ্তাহ অনুষ্ঠিত

» পাঁচবিবিতে তথ্য আপা প্রকল্পের বিশেষ উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

» নগদ-এ কেনাকাটার পেমেন্ট করলে পাবেন বিএমডব্লিউ গাড়ি

» মোবাইল ব্যালেন্স থেকে পরিশোধ করা যাবে সরকারি সেবার বিল

» জলাবদ্ধতা নিরসনে ডিএনসিসিকে সহযোগিতায় আগ্রহী নেদারল্যান্ডস

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

আজ বিশ্ব বেতার দিবস

রেডিও বা বেতার সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও জনপ্রিয় গণমাধ্যম। বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর শক্তি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালেও বেতারের ভূমিকা ছিলো অবিস্মরণীয়।

 

আজ বিশ্ব বেতার দিবস।  বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিও অংশগ্রহণ করছে।

 

এ বছর বিশ্ব বেতার দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘সবাই মিলে বেতার শুনি, বেতারেই আস্থা রাখি।

 

বাংলাদেশ বেতারের জন্মকালের সঙ্গে বাংলাদেশের রয়েছে এক ঐতিহাসিক মিল। বাংলাদেশে বেতারের যাত্রা শুরু ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। এর ঠিক ৩২ বছর পর এ দিনটিতেই চূড়ান্ত বিজয় লাভের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রে পরিণত হয় বাংলাদেশ।

 

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় ফ্রন্ট নামে খ্যাত ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের এক বলিষ্ঠ প্রচার কান্ডারি। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত কালজয়ী গান ও অনুষ্ঠানগুলো একদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের মনোবলকে শক্তিশালী করেছে, অন্যদিকে দেশের জনগণকে স্বাধীনতার দিকে অনুপ্রাণিত করে।

 

বিশ্বে বেতার এখনও অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। তবে তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ প্রসারের ফলে সম্প্রচার জগতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।

 

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

 

রাষ্ট্রপতি বাণীতে বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে বেতার একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সব ধরণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং স্বতন্ত্র বিষয়বস্তু মিডিয়া বৈচিত্র্যের অন্যতম অনুসঙ্গ। স্বাধীন গণমাধ্যম দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মুক্তির আলোকবর্তিকা।

 

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তিনি বলেন, দুর্যোগের এই সময়ে সঠিক বার্তা, দিকনির্দেশনা, সর্বোপরি করোনা মোকাবিলায় সরকার গৃহীত নানা উদ্যোগ এবং এই মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে এসেছে বেতার, অর্জন করেছে আস্থার জায়গা।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :

Design & Developed BY ThemesBazar.Com