আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, দেশে গত ১৪ বছরে একের পর এক মেগা প্রজেক্ট হয়েছে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের সফলতা। কিন্তু এটি অনেকের ভালো লাগে না।
তিনি বলেন, এ সফলতাকে নস্যাৎ করার জন্য আজকে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি উঠে-পড়ে লেগেছে। যারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না, দেশের ইতিহাসকে স্বীকৃতি দেয় না, আইন মানে না, কোর্ট-কাচারি মানে না, গায়ের জোরে ক্ষমতায় যেতে চায়, অসাংবিধানিক উপায়ে পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়। আপনারা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন আর আমরা বসে থাকবো, এটা হয় না।
আজ (২১ ডিসেম্বর) ‘বিজয়ের ৫২ বছর ও আমাদের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদ।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপি সবমিলিয়ে ৩৮ দফা দিয়েছে। এ দেশের মানুষ তাদের এসব দফা বিশ্বাস করে না, কাজে বিশ্বাস করে। কাজ, কর্ম, সততাকে বিশ্বাস করে। যেটা শেখ হাসিনা এরইমধ্যে করে দেখিয়েছেন।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, বিএনপি আজকে রাষ্ট্রযন্ত্রকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি সংবিধান মানে না, তারা অনির্বাচিত সরকার চায়। এ ইস্যু নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না, সেটি তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম মৃধার সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ প্রমুখ।