ভোলায় খাবার হোটেলে বিক্রির জন্য কমদামে অসুস্থ মহিষ কিনে জবাই করে নেয়ার সময় পুলিশের তাড়া খেয়ে দুই হোটেল ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসব মাংস জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
বুধবার বিকেলে তজুমদ্দিনে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের কোড়ালমারা গ্রামে দফাদার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
মহিষের মালিক ফরিদউদ্দিন ও প্রত্যক্ষদর্শী তজুমদ্দিন প্রেসক্লাব সভাপতি রফিক সাদী জানান, কয়েকদিন কোড়ালমারা গ্রামের ফরিদউদ্দিন ৮৫ হাজার টাকায় একটি মহিষ কিনেন। মহিষটি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পশু হাসপাতালে ৪/৫ দিন চিকিৎসা করেও সুস্থ হচ্ছিল না। এ সময় তার আত্মীয় কুঞ্জেরহাট এলাকার খাবার হোটেল হাজী বিরিয়ানির মালিক নয়ন মুন্সী ও ভোলা শহরের নুরজাহান হোটেলের মালিক আল আমিন খবর পেয়ে অসুস্থ মহিষটি ৪৫ হাজার টাকায় কিনে জবাই করে।
মহিষটি জবাই করে মাংস কাটতে দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী ও সাংবাদিকরা অসুস্থ মহিষটি হোটেলের জন্য কেন কাটছেন জানতে চাইলে ওই দুই হোটেল ব্যবসায়ী নয়ন ও আল আমিন সকলের সাথে অশোভন আচরণ করে। এ সময় স্থানীয়দের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে মাংস ফেলে রেখে হোটেল ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ওই মহিষের মাংস জব্দ করে মাটিতে পুঁতে ফেলে।
এ বিষয়ে তজুমদ্দিন উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি ফিল্ড এ্যাসেস্টেন মো. সালাহউদ্দিন জানান, ফরিদউদ্দিনের মহিষটিকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা না দেয়ার কারণে ফুসফুস ও শরীরে ঘা হয়েছে। পাশাপাশি পাতলা পায়খানা দেখা দেয়ায় মহিষটি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জিয়াউল হক জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মহিষের মাংস ফেলে হোটেল ব্যবসায়ীরা পালিয়ে যায়। রোগাক্রান্ত পশুর মাংস মানুষের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর তাই পুলিশ ওই মাংস জব্দ করে মাটি চাপা দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশি তদন্ত চলছে বলেও জানান ওসি।
সূএ:বাংলাদেশ জার্নাল ডটকম