অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের নেই

ছবি সংগৃহীত

 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সরাসরি কোনো এখতিয়ার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে তথ্য অধিদপ্তরের অধীনে ফ্যাক্ট চেকিং কমিটি রয়েছে। দেশে ও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার রোধে সরকার নিরবচ্ছিন্ন কাজ করছে।

আজ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় এমপি চয়ন ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কর্মকাণ্ড করলে তা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার এখনো গড়ে (ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা) ওঠেনি। তবে এই বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে অপপ্রচারের জবাব তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অচিরেই অপপ্রচার বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

চয়ন ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বই অপপ্রচার ও গুজব নিয়ে খুবই চিন্তিত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে মিস ইনফরমেশনকে আগামীদিনের একনম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে আমরা নিজেরা আক্রান্ত। আমরা সবাই এ বিষয়ে অবগত আছি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অংশীজনের সাথে এটা নিয়ে কথা বলেছি। দেশকে অসত্য ও গুজব মুক্ত করতে পারলে দেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির কোনো জায়গা হবে না। কারণ এই অপশক্তি কেবল অসত্য ও গুজবের ওপর ভিত্তি করে তাদের জায়গা করে নিয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও জয়বাংলাসহ সব সত্যগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ঢুকিয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তারা এটা করছে।

 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে গুজবকে প্রতিহত ও ডিসইনফরমেশনকে আটকে দেওয়া একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। আমরা ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই একটি জায়গায় যেতে পারব। যাতে এদেশে অবাধ তথ্য প্রবাহ হয় আবার মিস ইনফরমেশনকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারি।

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি প্রশ্নে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। হয়তো এসব আইডিতে ইতিবাচকভাবে পোস্টগুলো হচ্ছে। কিন্তু কখনো কখনো এটা মধ্যে অনিশ্চয়তা থাকে। আমরা বলতে পারছি না সবসময় ইতিবাচক পোস্ট দেবে কি না। কাজেই এটা জানাটা খুবই জরুরি। কোন উৎস থেকে এটা খোলা হয়েছে। বলেও দেওয়া আছে এ ধরনের কোনো অ্যাকাউন্ট অনুমতি ছাড়া খোলা যাবে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে এগুলো বন্ধ করার মতো সক্ষমতা নেই। আমরা এগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» নতুন মায়েরা সকালে এই ৫ সুপারফুড খান

» হার্ট অ্যাটাক পরবর্তী ১ থেকে ২ ঘণ্টা কেন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?

» বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবার ক্যাভিয়ার আসলে কী?

» এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ, ফাইনালে ভারত

» মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষক নিহত

» সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা ও আয়ের ব্যবস্থা করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

» সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আগামীকাল

» অলিম্পিক উদ্বোধনের আগে ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে ভয়াবহ হামলা

» যুবলীগ কর্মী জুয়েলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রাখে জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা

» কেন বিষাক্ত মানুষদের ছেঁটে ফেলতে বললেন পরিণীতি?

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের নেই

ছবি সংগৃহীত

 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর অপতথ্য প্রচারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সরাসরি কোনো এখতিয়ার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নেই। তবে তথ্য অধিদপ্তরের অধীনে ফ্যাক্ট চেকিং কমিটি রয়েছে। দেশে ও বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে গুজব ও বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার রোধে সরকার নিরবচ্ছিন্ন কাজ করছে।

আজ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় এমপি চয়ন ইসলামের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, দেশের অভ্যন্তরে বসে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বা অন্তর্ঘাতমূলক কোনো কর্মকাণ্ড করলে তা প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু বিদেশের মাটিতে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার এখনো গড়ে (ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা) ওঠেনি। তবে এই বিষয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে অপপ্রচারের জবাব তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমেই রোধ করা সম্ভব। প্রযুক্তির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে অচিরেই অপপ্রচার বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

চয়ন ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, কেবল বাংলাদেশ নয় গোটা বিশ্বই অপপ্রচার ও গুজব নিয়ে খুবই চিন্তিত। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে মিস ইনফরমেশনকে আগামীদিনের একনম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে আমরা নিজেরা আক্রান্ত। আমরা সবাই এ বিষয়ে অবগত আছি। মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অংশীজনের সাথে এটা নিয়ে কথা বলেছি। দেশকে অসত্য ও গুজব মুক্ত করতে পারলে দেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির কোনো জায়গা হবে না। কারণ এই অপশক্তি কেবল অসত্য ও গুজবের ওপর ভিত্তি করে তাদের জায়গা করে নিয়েছে। তারা বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও জয়বাংলাসহ সব সত্যগুলোর মধ্যে বিভ্রান্তি ঢুকিয়েছে। প্রযুক্তির অপব্যবহার করে তারা এটা করছে।

 

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্রের স্বার্থে মত প্রকাশের স্বাধীনতা যেমন গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে গুজবকে প্রতিহত ও ডিসইনফরমেশনকে আটকে দেওয়া একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। এজন্য আইন, স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে। আমরা ইতোমধ্যে কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। আশা করছি শিগগিরই একটি জায়গায় যেতে পারব। যাতে এদেশে অবাধ তথ্য প্রবাহ হয় আবার মিস ইনফরমেশনকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারি।

বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি প্রশ্নে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সরকারের নজরে আছে। হয়তো এসব আইডিতে ইতিবাচকভাবে পোস্টগুলো হচ্ছে। কিন্তু কখনো কখনো এটা মধ্যে অনিশ্চয়তা থাকে। আমরা বলতে পারছি না সবসময় ইতিবাচক পোস্ট দেবে কি না। কাজেই এটা জানাটা খুবই জরুরি। কোন উৎস থেকে এটা খোলা হয়েছে। বলেও দেওয়া আছে এ ধরনের কোনো অ্যাকাউন্ট অনুমতি ছাড়া খোলা যাবে না। তথ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে এগুলো বন্ধ করার মতো সক্ষমতা নেই। আমরা এগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com