তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, তুরস্ক; বিশেষ করে সার্কভুক্ত দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি অনেক কম।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর প্রকাশিত পদ্মা সেতুভিত্তিক সংবাদ সংকলনের ৭টি খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের নেতিবাচক মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলবো, তিনি শিক্ষক ছিলেন আমিও শিক্ষকতা করি, এখনো পার্টটাইম পড়াই। মাস্টার হিসেবে একজন প্রাক্তন মাস্টারের কাছে অনুরোধ, মাস্টার সমাজের যেন বদনাম না হয়, সেজন্য তার একটু পড়াশোনা করা দরকার। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতির দিকে তাকে একটু তাকাতে বলবো।
তিনি বলেন, ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে, সেটি ৮.৬ ভাগ। ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি যুক্তরাজ্যে ৯.১ ভাগ, জার্মানিতে ৭.৯ ভাগ, রাশিয়াতে ১৭.১ ভাগ, তুরস্কে ৭৩.৫ ভাগ, নেদারল্যান্ডে ৯.৬ ভাগ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকায় ৩৯.১ ভাগ, পাকিস্তানে ১৩.৮ ভাগ, ভারতেও ৭ শতাংশের ওপরে। আমাদের দেশে মে মাস পর্যন্ত সেটি ৬ শতাংশের একটু উপরে ছিল, সাম্প্রতিক সময়ে বেড়ে ৭ শতাংশ হয়েছে, যেটি আজকে সব পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। দেশে এখনো এই কম মূল্যস্ফীতি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কারণেই সম্ভবপর হয়েছে। বিশ্ব বাজারে ধীরে ধীরে ভোগ্যপণ্যের দাম কমছে। আশা করছি দু-এক মাসের মধ্যে এর সুফল পাবো।
বিএনপির সমাবেশ নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অফিসে আসার সময় প্রেসক্লাবের সামনে দেখেছি জনা পঞ্চাশ মানুষ দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ করছে। আশপাশের গাছপালায় তার চেয়ে বেশি কাক- পাখি আছে। সাড়ে ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের হুমকি-ধামকির মধ্যেই জনগণ আমাদের আরো দু’বার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে। এ ধরনের হুমকি-ধামকি তাদের হাস্যকর বানাচ্ছে। এসবে কোনো কাজ হবে না। দেশে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে যেমন ভারত, ইংল্যান্ড, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে, অস্ট্রেলিয়া, জাপানে যেভাবে হয় ঠিক একইভাবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে এবং এবং বর্তমান সরকারই নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।
মন্ত্রী এ সময় তার নির্দেশে পদ্মা সেতুভিত্তিক দুই হাজারেরও বেশি সংবাদের সংকলন দ্রুত প্রকাশের জন্য তথ্য অধিদফতরকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু বাঙালির গর্ব, সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আবারো প্রমাণ করেছেন, কোনো রক্তচক্ষু তাকে দমাতে পারে না, কোনো ষড়যন্ত্রও তাকে থামাতে পারে না। সকল ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন দেশকে, জাতিকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেন। আশা করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায়, মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাবে ২০৪১ সাল নাগাদ কিংবা তার আগেই বাংলাদেশ একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে।