তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না, জোবায়েদের মৃত্যু কনফার্ম করে বর্ষা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : জোবায়েদ তখনো মারা যায়নি। বাঁচার জন্য দুই তলা থেকে উপরে ওঠে। তিন তলায় দাঁড়িয়ে ছিল বর্ষা। তখন বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলে, আমাকে বাঁচাও, কিন্তু বর্ষা বলে, তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না। বর্ষা তার মৃত্যু কনফার্ম করে যায়। তখন জোবায়েদ বাঁচার জন্য দরজায় নক করেও পায়নি’—জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের হত্যার ঘটনায় এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন ডিএমপির লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।

 

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপির) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিসি মল্লিক। তিনি বলেন, মেয়েটা (বর্ষা) অনেক চালু। দুইদিকেই সম্পর্ক বজায় রাখে। পুলিশ বলছে—হত্যার জন্য তারা নতুন দুইটা সুইচ গিয়ার কেনেন। ঘটনার সময় এলোপাতাড়ি ছুরি চালান মাহির। তাকে হত্যার জন্য প্রেমিককে বলেন মেয়েটি। এটি তাদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

 

ওসি বলেন, মেয়েটির সঙ্গে মাহিরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু মাঝে তিনি জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়েন। এ সময় মাহিরকে না বলে দেন এবং জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিছুদিন পরই তার বয়ফ্রেন্ডকে জানান যে, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দুজন।

 

এর আগে মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা বর্ষা ও মাহীরের পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহীরকে না করে দেয়। এবং সে জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায় যে জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহীর।

 

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা স্বীকার করেনি ছাত্রী। পরবর্তীতে মাহির ও তাকে মুখোমুখি করলে সত্য ঘটনা জানায়। জোবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেয়া যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করেন তারা।

 

 

জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছাত্রীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার শেষ প্রস্তুতি চলছে। সোমবার জোবায়েদকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

 

এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় ছাত্রীটিকে ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন।রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় ওঠার সময় সিঁড়িতে তিনি খুন হন। নিচ তলার সিঁড়ি থেকে তিনতলা পর্যন্ত রক্ত ছড়িয়ে ছিল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জুলাই সনদের বিরোধীদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে : মামুনুল হক

» নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ : সাকি

» তফশিল ঘোষণার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: ইসি সচিব

» ইসরায়েলি রিজার্ভ ফোর্সের মতো তরুণদের মিলিটারি ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করার তাগিদ জানালেন মাহমুদুর রহমান

» আমার কাছে অর্থের চেয়ে দেশপ্রেম বড়: হাসনাত আব্দুল্লাহ

» একদল অপকর্ম করে পালিয়েছে, আরেকদল সেই অপকর্মের দায় কাঁধে তুলে নিয়েছে: জামায়াত আমির

» ওরা নির্বাচনকে পেছানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে : চরমোনাই পীর

» হাসিনা আমাকেও আসন ও টাকা অফার করেছিল: নুর

» ডিইউজে শহিদুল ইসলাম সভাপতি ও খুরশীদ আলম সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত

» সরকারে গেলে প্রাইভেট সেক্টরেও শুক্র-শনি ছুটি ঘোষণা করব: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না, জোবায়েদের মৃত্যু কনফার্ম করে বর্ষা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক : জোবায়েদ তখনো মারা যায়নি। বাঁচার জন্য দুই তলা থেকে উপরে ওঠে। তিন তলায় দাঁড়িয়ে ছিল বর্ষা। তখন বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলে, আমাকে বাঁচাও, কিন্তু বর্ষা বলে, তুমি না মরলে আমি মাহীরের হতে পারব না। বর্ষা তার মৃত্যু কনফার্ম করে যায়। তখন জোবায়েদ বাঁচার জন্য দরজায় নক করেও পায়নি’—জবি ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের হত্যার ঘটনায় এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন ডিএমপির লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী।

 

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপির) মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিসি মল্লিক। তিনি বলেন, মেয়েটা (বর্ষা) অনেক চালু। দুইদিকেই সম্পর্ক বজায় রাখে। পুলিশ বলছে—হত্যার জন্য তারা নতুন দুইটা সুইচ গিয়ার কেনেন। ঘটনার সময় এলোপাতাড়ি ছুরি চালান মাহির। তাকে হত্যার জন্য প্রেমিককে বলেন মেয়েটি। এটি তাদের পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।

 

ওসি বলেন, মেয়েটির সঙ্গে মাহিরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু মাঝে তিনি জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়েন। এ সময় মাহিরকে না বলে দেন এবং জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিছুদিন পরই তার বয়ফ্রেন্ডকে জানান যে, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন দুজন।

 

এর আগে মঙ্গলবার সকালে বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এটা বর্ষা ও মাহীরের পরিকল্পিত হত্যা। বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে আবার বর্ষা জোবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সময় বর্ষা মাহীরকে না করে দেয়। এবং সে জোবায়েদেকে পছন্দ করে বলে জানায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানায় যে জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। তখন জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহীর।

 

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা স্বীকার করেনি ছাত্রী। পরবর্তীতে মাহির ও তাকে মুখোমুখি করলে সত্য ঘটনা জানায়। জোবায়েদকে কীভাবে সরিয়ে দেয়া যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিকল্পনা করেন তারা।

 

 

জোবায়েদ হোসাইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯- ২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তাকে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছাত্রীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার শেষ প্রস্তুতি চলছে। সোমবার জোবায়েদকে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।

 

এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় ছাত্রীটিকে ফিজিক্স, কেমেস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন।রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় ওঠার সময় সিঁড়িতে তিনি খুন হন। নিচ তলার সিঁড়ি থেকে তিনতলা পর্যন্ত রক্ত ছড়িয়ে ছিল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com