ভৈরবে একযোগে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে আজ নৌপথ অবরোধ করা হয়েছে। এতে মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার ঘাটে এক ঘণ্টা নৌচলাচল বন্ধ ছিল। কর্মসূচি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

 

আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে নৌপথ অবরোধ। বিক্ষোভকারীরা ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে অবস্থান নেন।

 

অবরোধকারীরা বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ ট্রেনচালক জোরে জোরে ট্রেনের হুইসেল বাজানোর কারণে জনতা নিজেদের সেভ করতে কিছু পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি)। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পূর্বেও ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব। আমাদের মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।

 

এর আগে, আন্দোলনকারীরা সড়ক ও রেলপথ আন্দোলন করে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আজ নৌপথ অবরোধ করে দাবি আদায়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন আন্দোলকারীরা।

 

ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা এখানকার সর্বস্তরের মানুষের দাবি। পূর্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি।

 

বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। আমরা ব্লকেড কর্মসূচিও পালন করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছিলাম, তবে প্রশাসনের কথা অনুযায়ী তা প্রত্যাহার করা হয়। জেলা বাস্তবায়নের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।

 

এ সময় জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে অবরোধ চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সকালে ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছি।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আসিফ নজরুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

» বিএনপি-এনসিপি জোট হবে কিনা বলার সময় আসেনি : সালাহউদ্দিন

» জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে : আমীর খসরু

» মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সারাহ কুকের সাক্ষাৎ

» লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি

» ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ ২ নভেম্বর

» প্রাথমিক শিক্ষার বিষয়ে জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী পদক্ষেপ নেবে না সরকার : ধর্ম উপদেষ্টা

» বিশেষ অভিযানে মোট ১ ৫৭০ জন গ্রেফতার

» নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দ্রুত বডি-অন-ক্যামেরা ক্রয়ের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

» আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে : তথ্য উপদেষ্টা

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

ভৈরবে একযোগে সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা

সংগৃহীত ছবি

 

অনলাইন ডেস্ক :  কিশোরগঞ্জের ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে আজ নৌপথ অবরোধ করা হয়েছে। এতে মেঘনা নদীর ভৈরব বাজার ঘাটে এক ঘণ্টা নৌচলাচল বন্ধ ছিল। কর্মসূচি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

 

আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলে নৌপথ অবরোধ। বিক্ষোভকারীরা ভৈরব বাজার লঞ্চঘাট ও কার্গোঘাটে অবস্থান নেন।

 

অবরোধকারীরা বলেন, সোমবার শান্তিপূর্ণ রেল অবরোধের সময় কর্মসূচির শেষের দিকে হঠাৎ ট্রেনচালক জোরে জোরে ট্রেনের হুইসেল বাজানোর কারণে জনতা নিজেদের সেভ করতে কিছু পাথর নিক্ষেপ করে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় স্টেশন মাস্টার ও রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি)। আমরা ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে পূর্বেও ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব। আমাদের মামলা দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।

 

এর আগে, আন্দোলনকারীরা সড়ক ও রেলপথ আন্দোলন করে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। আজ নৌপথ অবরোধ করে দাবি আদায়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দেন। বৃহস্পতিবার একযোগে সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের ঘোষণা দেন আন্দোলকারীরা।

 

ভৈরব পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম পাভেল বলেন, ভৈরবকে জেলা ঘোষণা এখানকার সর্বস্তরের মানুষের দাবি। পূর্বে আন্দোলনের মাধ্যমে ৬৫তম জেলার প্রজ্ঞাপন জারি হলেও পরে সরকার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা জেলার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে মাঠে নেমেছি।

 

বাঁশগাড়ি জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র রায়হান বলে, ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল শান্তিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। আমরা ব্লকেড কর্মসূচিও পালন করেছি শান্তিপূর্ণভাবে। আমরা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছিলাম, তবে প্রশাসনের কথা অনুযায়ী তা প্রত্যাহার করা হয়। জেলা বাস্তবায়নের জন্য আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি।

 

এ সময় জেলা আন্দোলনের নেতা মাওলানা সাইফুল ইসলাম শাহারিয়া, গণঅধিকার পরিষদের নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ কাজল, ছাত্রনেতা জুনাইদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

 

ভৈরব বাজার লঞ্চঘাটে অবরোধ চলাকালে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এএইচএম মো. আজিমুল হক, ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাশেদুজ্জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

ভৈরব নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, সকালে ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন হয়েছে। আমরা সবাইকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছি।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com