ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বর্ধিত এক মাস সময়ের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ঠিক করতে চাওয়ার কথা জানিয়ে কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, এর জন্য কোনো অবস্থাতেই এক মাস লাগবে বলে মনে করি না। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। আশা করি—দ্রুত একটি পরিণতি দেখা যাবে।
বুধবার জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় ধাপের তৃতীয় দিনের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির পর প্রথম দিন বৈঠক ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডাকা হয়। ড. আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের সভাপতি হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা সার্বিক বিষয়ে জানেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের অধিবেশনে যাবেন তিনি। এর আগেই সনদ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত করা হবে।
সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে দলগুলোর কাছে কমিশন চূড়ান্ত খসড়া পাঠিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন—দলগুলো ৬টি উপায়ের পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ বলছেন বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে কার্যকর করতে। আবার অনেকেই সংসদের ওপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে।
আলী রীয়াজ বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো গণভোট ও সংবিধানের মাধ্যমে করতে বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যেগুলো অধ্যাদেশের মাধ্যমে শেষ করা যাবে, তা যেন সরকার দ্রুত সম্পন্ন করে। সে পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সনদে স্বাক্ষর করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে দুই জন করে প্রতিনিধির নাম পাঠানোর কথা বলা হয়েছিলো। বেশিরভাগ দলই পাঠিয়েছে। আমরা চাই এ ব্যাপারে সরকার প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেবে। তৃতীয় ধাপের এ বৈঠকে অংশন নিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিসহ (সিপিবি) ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া।