পরিবেশ রক্ষাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তাকে আইনগত কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। বিশ্বজুড়ে পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীরা হত্যা ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, যা জাতিসংঘও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বাংলাদেশের জাতীয় আইনেও এ বিষয়টির প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন।

 

শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ (খসড়া)’ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালত অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নে কিছু সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। বর্তমান খসড়া অধ্যাদেশটি সামগ্রিকভাবে ভালো। এতে তদন্ত, সুপারিশ, ক্ষতিপূরণ, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, সালিশ ও মধ্যস্থতা— সব উপাদানই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো কমিশনকে কীভাবে কার্যকর ও সক্ষম করা যায়।

 

তিনি আরও বলেন, কমিশনের সুপারিশকে কেবল নৈতিক শক্তি নয়, আইনি প্রভাবসম্পন্ন করতেই হবে। সালিশ বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যও আইনগত কাঠামো থাকা জরুরি। খসড়ার কিছু জায়গায় সংশোধনের সুযোগ আছে—‘ব্যক্তি’ শব্দের সংজ্ঞায় সরকারি সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা, কমিশনের নিজস্ব আইনজীবী প্যানেল গঠন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রাখা উচিত।

 

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এই আইনটি পুলিশ কমিশন, নারী কমিশন, গুম ও নিখোঁজ তদন্ত কমিশন এবং গণমাধ্যম কমিশনের মতো অন্যান্য আইনের সঙ্গে পরিপূরক হবে। তাই এখন থেকেই এসব আইনের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সামঞ্জস্য নিশ্চিত করতে হবে।

 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেনগলি, ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন আন্ডার্স বি. কার্লসেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রতিনিধি স্টেফান লিলার ও রোমানা শভাইগার, এবং আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। সভায় আইন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবক নিহত

» ‘ক্ষমতায় গেলে সংবিধানে আল্লাহর প্রতি আস্থা পুনর্বহাল করবে বিএনপি’

» গণভোটের চারটি প্রশ্নের একটিতে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়: রিজভী

» আজ যেসব এলাকায় টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না

» সুদের টাকা চাইতে গিয়ে যুবককে রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

» ঢাকার ৪৪টি পুকুর ও জলাশয় সংস্কার কাজের উদ্বোধন করলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

» মুসলমানদের মৌলিক দাবি আদায় না হলে আমরা সেই সংবিধান মানি না

» খতমে নবুওয়ত সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা

» গত ৩ বারের মতো নির্বাচন হলে জাতির ভাগ্যে নামবে চরম দুর্ভোগ: মিয়া গোলাম পরওয়ার

» রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কমিটিতে থাকতে পারবে না: সারজিস আলম

 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

পরিবেশ রক্ষাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে : সৈয়দা রিজওয়ানা

ছবি সংগৃহীত

 

অনলাইন ডেস্ক :  পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তাকে আইনগত কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে। বিশ্বজুড়ে পরিবেশ মানবাধিকার রক্ষাকারীরা হত্যা ও সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, যা জাতিসংঘও বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে। বাংলাদেশের জাতীয় আইনেও এ বিষয়টির প্রতিফলন থাকা প্রয়োজন।

 

শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ (খসড়া)’ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শ সভায় বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় বিচার বিভাগের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আদালত অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নে কিছু সীমাবদ্ধতা দেখা যায়। বর্তমান খসড়া অধ্যাদেশটি সামগ্রিকভাবে ভালো। এতে তদন্ত, সুপারিশ, ক্ষতিপূরণ, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, সালিশ ও মধ্যস্থতা— সব উপাদানই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো কমিশনকে কীভাবে কার্যকর ও সক্ষম করা যায়।

 

তিনি আরও বলেন, কমিশনের সুপারিশকে কেবল নৈতিক শক্তি নয়, আইনি প্রভাবসম্পন্ন করতেই হবে। সালিশ বা মধ্যস্থতার মাধ্যমে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যও আইনগত কাঠামো থাকা জরুরি। খসড়ার কিছু জায়গায় সংশোধনের সুযোগ আছে—‘ব্যক্তি’ শব্দের সংজ্ঞায় সরকারি সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা, কমিশনের নিজস্ব আইনজীবী প্যানেল গঠন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রাখা উচিত।

 

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত এই আইনটি পুলিশ কমিশন, নারী কমিশন, গুম ও নিখোঁজ তদন্ত কমিশন এবং গণমাধ্যম কমিশনের মতো অন্যান্য আইনের সঙ্গে পরিপূরক হবে। তাই এখন থেকেই এসব আইনের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সামঞ্জস্য নিশ্চিত করতে হবে।

 

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রিড রেনগলি, ডেনমার্ক দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন আন্ডার্স বি. কার্লসেন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রতিনিধি স্টেফান লিলার ও রোমানা শভাইগার, এবং আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। সভায় আইন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সংস্থা, মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,

ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,

নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন: ই-মেইল : [email protected],

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com