ছবি সংগৃহীত
অনলাইন ডেস্ক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগের যে সমর্থক গোষ্ঠী আছে, হাসিনা যদি চায় তারা জামায়াতকে ভোট দিতে পারে। এতে বিএনপি যেমন পরাজিত হবে, জামায়াত যদি ক্ষমতায় যায় বা খুবই শক্তিশালী হয়ে ওঠে, শক্তিশালী বিরোধী দল হয়ে যায়, সেটা শেখ হাসিনা ও ইন্ডিয়ান ন্যারেটিভকে শক্তিশালী করবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. জাহেদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যদি কেন্দ্রীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে দেবে না, ইভেন জামায়াতে যে পারসেন্টেজের সমর্থন দেখানো হচ্ছে এর চেয়ে কমও যদি হয়, তারপরও একটা ভালো ফাইট হওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে।
আওয়ামী লীগ-ভারত এই মডেলে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। এই কথাটা আমি অনেকবার বলেছি।’ তিনি বলেন, ‘একটা সময় আমার শুরুতে মনে হয়েছিল যে ভোট বিএনপির দিকে বেশি যাবে, ইনফ্যাক্ট এখনো যারা হাসিনার কথা শোনে না, এরকম আওয়ামী লীগার আছে, যারা লিবারেল, যারা সেন্ট্রিস্ট, যারা সেক্যুলার, তারা হাসিনা বললেও জামায়াতকে ভোট দেবে না। তারা মূলত বিএনপিকেই ভোট দেবেন।
ইনোভেশনের জরিপের তথ্যানুসারে ডা. জাহেদ আরো বলেন, জামায়াতে প্রায় ৩০%, আওয়ামী লীগের প্রায় ২০%, মানে প্রায় ৫০% ভোট তার পক্ষে চলে যায়। এর মধ্যে এনসিপির জরিপে যেটা দেখানো হয়েছে ৫.১ এর মতো ছিল। এটা ৪.১% ভোট পাবে বলে বলা হচ্ছে। তারও ১ পারসেন্ট কমে গেছে।
এই এনসিপি কাগজে কলমে বলছে যদি বিএনপির (৪১.৩০%) সঙ্গে যুক্ত হয়, এই ভোট তারপরে সেটা কম হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা মৌলবাদী দল ক্ষমতায় গেছে বা ক্ষমতায় না গেলেও ভীষণ শক্তিশালী হয়ে উঠছে (আ. লীগের সমর্থকরা ভোট দিলে)। এটা ভারতের ডোমেস্টিক পলিটিক্স এবং বাংলাদেশকে মৌলবাদী রাষ্ট্র হয়ে উঠছে—এই ন্যারেটিভ ইন্টারন্যাশনালি প্রচার করতে খুবই সাহায্য করবে। সুতরাং এই জরিপের (ইনোভেশন) ভিত্তিতে আমরা এই সংখ্যার কথাটা আবার নিশ্চয়ই বলে রাখব।







