বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে আগামী ২৫ জুন। ওইদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুর উদ্বোধন করবেন। আর এ সেতুর নাম পদ্মা নদীর নামেই হবে।
মঙ্গলবার এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন।
এর আগে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, সেতুটি চালু হলেও নিচের অংশে রেললাইনের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। ঢালাই দেওয়া অবস্থায় সেতু দিয়ে যান চলাচলে যে কম্পন সৃষ্টি হবে তাতে রেল লাইনের ঢালাইয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। ধরতে পারে ফাঁটল। রেল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী ঢালাইয়ের সময় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পদ্মা সেতুতে এখন শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা চলছে। শেষ হয়েছে পিচ ঢালাইয়ের কাজ। সেতুতে বসেছে সব কয়টি ল্যাম্প পোস্ট। রোড মার্কিংয়ের জন্য পরীক্ষাও চালানো হয়েছে। শিগগিরই এই কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে চলছে ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ, যা এই মাসের মধ্যেই শেষ করার কথা রয়েছে। সেতু দিয়ে যান চলাচলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হলেও নিচের অংশে রেলের বড় একটি কাজ বাকি। গ্যাস পাইপ লাইন, ওয়াকওয়েসহ বাকি কাজ শেষ করে জুনেই রেলের কাছে সেতুর নিচের অংশ বুঝিয়ে দেবে সেতু বিভাগ।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়েছে ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। একইসঙ্গে চলতে থাকে রোডওয়ে, রেলওয়ে স্ল্যাব বসানোসহ অন্যান্য কাজ।
সেতুর মূল আকৃতি দোতলা। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।