১৫৫ নয়, ২৮০ রানের টার্গেটে নেমেছিল বাংলাদেশ

লক্ষ্যটা বড় কিছু ছিল না, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিততে ১৫৫ রান করলেই হতো বাংলাদেশকে। যা ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৬.৩ ওভারেই করে ফেলেছে তামিম ইকবালের দল। তবে স্রেফ ১৫৫ রানের লক্ষ্যেই খেলতে নামেননি তারা, টার্গেট ২৭০-২৮০ ধরেই ব্যাট করছিলেন তামিমরা।

 

ছোট লক্ষ্যের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় খোলসবন্দী ব্যাটিংয়ের কারণে বাড়তি চাপ চলে আসে। সেটি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতেই মূলত স্বাভাবিক সময়ের মতো ২৭০-২৮০ রান তাড়া করার মানসিকতায় ব্যাটিং শুরু করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও তার সঙ্গী লিটন দাস।

তাদের ইতিবাচক মানসিকতায় প্রথম পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৮ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২০.৫ ওভারে আসে ১২৭ রান। যা পুরোপুরি সহজ করে দেয় বাংলাদেশের জয়। ম্যাচ শেষে রান তাড়ার সময় নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন তামিম।

 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম ইনিংস শেষে আমার কথা একটাই ছিল, আমরা যেন এটিকে ১৫৪-১৫৫ রানের ইনিংস হিসেবে না দেখি। আমাদের যেন চিন্তা থাকে যেন ২৭০-২৮০ রান তাড়া করছি। এরকম ছোট রানের ম্যাচ অনেক সময় ট্রিকি হয়ে ওঠে। উইকেট পড়ে গেলে বিপদ চলে আসে, চিন্তাই ছিল যেন আগ্রাসী থাকতে পারি।

 

শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। কুইন্টন ডি কক ও জানেমান মালানের ব্যাটে শুরুটা বেশ ভালো ছিল তাদের। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে আসে ১ উইকেটে ৫৭ রান। পরে একপর্যায়ে মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় তারা।

 

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টেম্বা বাভুমার দল। মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ মূলত সেখানেই হেরে যায় প্রোটিয়ারা। এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আজকে ওরা যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে এটা মনে করিনি যে দেড়শ রানে অলআউট করে দেবো। কিন্তু একটা কথাই আমাদের টিম হাডলে বা কোচ বলেন, সবাই বলেছি যে আমাদের যা আছে, আমরা সব যেন দিয়ে আসি মাঠে। এটাই ছিল আলোচনা।

 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ওরা ভালো শুরুর পর আমরা যখন দ্রুত দুটি উইকেট পেলাম, আমার মাথায় একটাই ভাবনা ছিল, উই উইল গো ফর কিল। নো ম্যাটার হোয়াট। আমরা আগ্রাসী থাকবো। তাসকিন যতো জোরে সম্ভব বল করবে এবং আমরা উইকেট নেবো। কারণ, সাধারণত আমাদের এরকম হয় যে আমরা ৩-৪ উইকেট নিয়ে নেই, এরপর বড় জুটি হয় ও ওরা বড় রান করে। আজকে তাই যতো কমে সম্ভব অলআউট করতে চেয়েছি।’

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি সময়ের দাবি- ধর্মমন্ত্রী

» কৃষি জমি রক্ষায় ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্ত পর্যায়ে – ভূমিমন্ত্রী

» ইসলামপুরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী উদ্বোধন

» বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের প্যানেল ঘোষণা

» জয়পুরহাটে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শন -২০২৪

» বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ল, কমল খোলা তেলের

» নানার বাড়িতে শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে ১জন আটক

» নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি আলমগীর

» অপপ্রচার রোধে ভারতের সহযোগিতা চাইলো বাংলাদেশ

» উপজেলা নির্বাচনে নেতাদের হস্তক্ষেপ বন্ধে কঠোর নির্দেশনা আ.লীগের : কাদের

উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

১৫৫ নয়, ২৮০ রানের টার্গেটে নেমেছিল বাংলাদেশ

লক্ষ্যটা বড় কিছু ছিল না, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিততে ১৫৫ রান করলেই হতো বাংলাদেশকে। যা ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৬.৩ ওভারেই করে ফেলেছে তামিম ইকবালের দল। তবে স্রেফ ১৫৫ রানের লক্ষ্যেই খেলতে নামেননি তারা, টার্গেট ২৭০-২৮০ ধরেই ব্যাট করছিলেন তামিমরা।

 

ছোট লক্ষ্যের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় খোলসবন্দী ব্যাটিংয়ের কারণে বাড়তি চাপ চলে আসে। সেটি যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতেই মূলত স্বাভাবিক সময়ের মতো ২৭০-২৮০ রান তাড়া করার মানসিকতায় ব্যাটিং শুরু করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও তার সঙ্গী লিটন দাস।

তাদের ইতিবাচক মানসিকতায় প্রথম পাওয়ার প্লেতে বিনা উইকেটে ৫৮ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২০.৫ ওভারে আসে ১২৭ রান। যা পুরোপুরি সহজ করে দেয় বাংলাদেশের জয়। ম্যাচ শেষে রান তাড়ার সময় নিজেদের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেছেন তামিম।

 

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘প্রথম ইনিংস শেষে আমার কথা একটাই ছিল, আমরা যেন এটিকে ১৫৪-১৫৫ রানের ইনিংস হিসেবে না দেখি। আমাদের যেন চিন্তা থাকে যেন ২৭০-২৮০ রান তাড়া করছি। এরকম ছোট রানের ম্যাচ অনেক সময় ট্রিকি হয়ে ওঠে। উইকেট পড়ে গেলে বিপদ চলে আসে, চিন্তাই ছিল যেন আগ্রাসী থাকতে পারি।

 

শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও আগ্রাসী মনোভাবের কারণেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। কুইন্টন ডি কক ও জানেমান মালানের ব্যাটে শুরুটা বেশ ভালো ছিল তাদের। প্রথম পাওয়ার প্লে’তে আসে ১ উইকেটে ৫৭ রান। পরে একপর্যায়ে মাত্র ১৭ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় তারা।

 

সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টেম্বা বাভুমার দল। মাত্র ১৫৪ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ মূলত সেখানেই হেরে যায় প্রোটিয়ারা। এ বিষয়ে তামিম বলেন, ‘আজকে ওরা যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে এটা মনে করিনি যে দেড়শ রানে অলআউট করে দেবো। কিন্তু একটা কথাই আমাদের টিম হাডলে বা কোচ বলেন, সবাই বলেছি যে আমাদের যা আছে, আমরা সব যেন দিয়ে আসি মাঠে। এটাই ছিল আলোচনা।

 

তিনি আরও যোগ করেন, ‘ওরা ভালো শুরুর পর আমরা যখন দ্রুত দুটি উইকেট পেলাম, আমার মাথায় একটাই ভাবনা ছিল, উই উইল গো ফর কিল। নো ম্যাটার হোয়াট। আমরা আগ্রাসী থাকবো। তাসকিন যতো জোরে সম্ভব বল করবে এবং আমরা উইকেট নেবো। কারণ, সাধারণত আমাদের এরকম হয় যে আমরা ৩-৪ উইকেট নিয়ে নেই, এরপর বড় জুটি হয় ও ওরা বড় রান করে। আজকে তাই যতো কমে সম্ভব অলআউট করতে চেয়েছি।’

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



উপদেষ্টা – মো: মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি। (দপ্তর সম্পাদক)  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com